সনিয়ার বাসভবনে ঢোকার আগে। ছবি: সংগৃহীত।
জল্পনা আগে থেকেই ছিল। সেই মতো রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে হাজির হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(ইউ) সভাপতি নীতিশ কুমার এবং আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে কংগ্রেস, বাম এবং বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার কাজ শুরু করেছেন নীতীশ। সে ব্যাপারে আলোচনা করতেই রবিবার সনিয়ার সঙ্গে লালু-নীতীশ বৈঠকে বসেছেন বলে দাবি ওই সূত্রের। যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি দু’পক্ষের তরফে। এই বৈঠকে অন্য কোনও বিরোধী দলের নেতা রয়েছেন কি না, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি বিহারে বিজেপির সঙ্গত্যাগ করে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গড়েছেন নীতীশ। তার পর থেকেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠতা’ বেড়েছে। সূত্রের দাবি, বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনা নিয়ে একাধিক বার সনিয়ার সঙ্গে নীতীশের কথাও হয়েছে। সেই মতোই এগোচ্ছেন জেডি(ইউ) প্রধান। যে সব দলের সঙ্গে কংগ্রেসের দীর্ঘদিন যাবৎ ‘সুসম্পর্ক’ নেই, তাদেরও বিরোধী জোটে যোগ দিতে বলা হবে কি না, রবিবারের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ওই সূত্রের আরও দাবি, বিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার জন্য তেলঙ্গানার শাসকদল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস), হরিয়ানার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর-কংগ্রেস, উত্তরপ্রদেশের বিএসপি এবং এসপি, ওড়িশার বিজু জনতা দল (বিজেডি), জম্মু-কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) ও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-কে বলা হতে পারে।
কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে রাহুলকেও চেয়েছিলেন লালু-নীতীশ। কিন্তু দক্ষিণ ভারতে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি হাজির থাকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটের আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেসের ‘মহাগঠবন্ধন’ গঠিত হওয়ার পরে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন নীতীশ।