কৃষিকাজে গোবর ও গোমূত্রজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়াতে সেগুলির বিপণনে জোর দেওয়া নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব করল নীতি আয়োগ। প্রতীকী ছবি।
দেশের গোশালাগুলিকে লাভজনক করে তোলা ও কৃষিকাজে গোবর ও গোমূত্রজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়াতে সেগুলির বিপণনে জোর দেওয়া নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব করল নীতি আয়োগ। অনেকের মতে, বিজেপি সরকারের আমলে গোরক্ষক বাহিনীর চাপে চাষিরা উৎপাদনশীলতা হারিয়ে ফেলা গরু আর বেচতে পারছেন না। সেই গরুগুলিকে তাঁরা রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছেন, যাদের রাখার জন্য দরকার পড়ছে গোশালার। কিন্তু গরুগুলির থেকে গোবর আর গোমূত্র ছাড়া কিছু পাওয়ার নেই। তা নিয়েই বিরোধীদের প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদীর আমলে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে যে নীতি আয়োগ তৈরি করা হয়েছিল, তার কাজ কি গোশালা আর গোবর নিয়ে পরিকল্পনা করা?
নীতি আয়োগের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রমেশ চন্দ জানান, তাঁদের গোশালা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক রিপোর্টটিতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে যে, সার কোম্পানিগুলিকে ১০ থেকে ২০ শতাংশ জৈব বা গবাদি পশুর বর্জ্য-জাত ইউরিয়াযুক্ত সার বিক্রি করতেই হবে। গোশালার পরিকাঠামো তৈরি ও কাজ চালানোর খরচের জন্য সুদে ছাড় দিয়ে তাদের দরাজ হাতে ঋণ দেওয়ারও প্রস্তাব করেছে নীতি আয়োগ। বস্তুত, গোবরজাত জৈব সারের বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং ব্র্যান্ড তৈরি করে বিপণনে বিশেষ জোর দেওয়ার পাশাপাশি এই ধরনের সার, কীটনাশক ও গৃহস্থালির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি লগ্নি আহ্বানের কথা রিপোর্টে বলেছে নীতি আয়োগ। উদ্ধার হওয়া গরুদের যত্নেও বিশেষ নজর দিতে বলেছে তারা।