অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি পিটিআই।
বছর দেড়েক আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির একাংশের একদফা সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। ১০টি ব্যাঙ্ক মিশে হয়েছে চারটি। এই অবস্থায় আগামী দিনে দেশের আরও কিছু ব্যাঙ্কের সংযুক্ত হওয়া নিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সংযুক্তিকরণ অত্যন্ত জরুরি বিষয় দাবি করে রবিবার তাঁর বার্তা, কোভিড-পরবর্তী সময় অর্থনীতি ও শিল্পের বাড়তে থাকা এবং বদলাতে থাকা চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন স্টেট ব্যাঙ্কের মতো বড় মাপের ৪-৫টি ব্যাঙ্ক।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বড় ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও বলেছিলেন। তার পরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কয়েক দফা সংযুক্তিকরণ হয়েছে। কিন্তু সেই উদ্যোগে যে এখনও দাঁড়ি পড়েনি, তা নির্মলার কথায় স্পষ্ট।
এ দিন দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। তারই মঞ্চে বড় মাপের ব্যাঙ্কের পক্ষে সওয়াল করার পাশাপাশি বলেন, দেশে এখনও এমন বহু জেলা রয়েছে যেখানে আর্থিক কর্মকাণ্ড যথেষ্ট পরিমাণে হলেও একটাও ব্যাঙ্ক নেই। সেখানে শাখা কিংবা পরিষেবা কেন্দ্র খোলার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২০১৯-এ রাজীব কুমার আর্থিক পরিষেবা সচিব থাকাকালীন একগুচ্ছ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছিল। যা বাস্তবায়িত হয় গত বছর এপ্রিলে দেবাশিস পণ্ডা সচিব হওয়ার পরে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে মেশে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক মেশে কানাড়া ব্যাঙ্কের সঙ্গে, এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, আর ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে অন্ধ্র ব্যাঙ্ক, কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক। স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে তার পাঁচটি অনুসারী ব্যাঙ্ক এবং ভারতীয় মহিলা ব্যাঙ্ক মিশেছিল তারও আগে। গোটা প্রক্রিয়ার শেষে দেশে এখন বড় সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, ছোট পাঁচটি। ২০১৭ সালে ছিল ২৭টি।
এ দিন সংযুক্তিকরণ অধ্যায়ের কথা বার বার মনে করান অর্থমন্ত্রী। ডিজিটাল ব্যবস্থা কতটা জরুরি তার উদাহরণ হিসেবেও মসৃণ ভাবে ১০টি ব্যাঙ্কের চারটি হওয়ার কথা বলেছেন। অতিমারির সময়ে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য প্রশংসা করেছেন ব্যাঙ্কগুলির। তার পরেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে আরও বাড়াতে সংযুক্তি প্রয়োজনীয় দাবি করে তাঁর বার্তা, ‘‘নতুন করে বদলে যাওয়া এবং বাড়তে থাকা চাহিদা মেটাতেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা আরও বাড়াতে হবে। বিষয়টা অতিমারির আগেই ভেবেছিলাম... দেশে এসবিআইয়ের মতো আরও চার বা পাঁচটা (বড়) ব্যাঙ্ক দরকার।’’