বাজেট অতিরিক্ত খরচের অনুমোদন নিয়ে রাজ্যসভায় বিতর্কে বিরোধীরা ইপিএফ-এ সুদের হার কমে যাওয়া নিয়ে সরব হন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, অতিমারির ধাক্কায় রুটিরুজিতে ধাক্কা লেগেছে। এ দিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মৃল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্ক, ডাকঘর বা পিপিএফ-এ সুদের হার আরও কম!
কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমে যাওয়া নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জবাব দিলেন, অন্যত্র আরও কম সুদ মিলছে। কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমে যাওয়া সেই বাস্তবেরই প্রতিফলন।
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের পরেই কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা ৪৪ বছরে সব থেকে কম। আগের দু’বছর, অর্থাৎ ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ সালে সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। গত ১২ মার্চ ইপিএফও-র অছি পরিষদের বৈঠকে সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত হবে অর্থ মন্ত্রকের সায় পাওয়ার পরে।
আজ বাজেট অতিরিক্ত খরচের অনুমোদন নিয়ে রাজ্যসভায় বিতর্কে বিরোধীরা ইপিএফ-এ সুদের হার কমে যাওয়া নিয়ে সরব হন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, অতিমারির ধাক্কায় রুটিরুজিতে ধাক্কা লেগেছে। এ দিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মৃল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। এ বার সরকার সাধারণ মানুষের সঞ্চয়েও আঘাত করছে।
নির্মলা বলেন, ইপিএফও-র অছি পরিষদে বিভিন্ন পক্ষ মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখনও অর্থ মন্ত্রকের কাছে তা অনুমোদনের জন্য আসেনি। একই সঙ্গে ডাকঘর, ব্যাঙ্কে যে আরও কম সুদ মিলছে, সে যুক্তিও দেন তিনি।বলেন, সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্পে ৭.৬ শতাংশ, ডাকঘরে প্রবীণদের সঞ্চয় প্রকল্পে ৭.৪ শতাংশ, পিপিএফ-এ ৭.১শতাংশ, স্টেট ব্যাঙ্কে সঞ্চয় প্রকল্পে সর্বাধিক ৫.৫০ শতাংশ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৬.৩ শতাংশ সুদ মেলে। কেন্দ্রকে ঋণ নিতে হলে গড়ে ৬.২৮ শতাংশ সুদ দিতে হয়। কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৮.১ শতাংশ সুদকে সেই প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, “জনতার ভোটে জিতে জনতাকে সুরাহা দেওয়াটা রাজধর্ম। এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষ জর্জরিত। চাষের খরচ বেড়েছে। সব কিছুর দাম বেড়েছে। তার উপরে সঞ্চয়ে সুদের হার কমেছে।”