নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই।
বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থা রয়েইছে। এ বার স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের মাথার উপর পাকা ছাদ গড়ে দিতে নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। নির্মীয়মান আবাসন প্রকল্পগুলিতে তারা মোট ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। শনিবার দিল্লিতে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর ফলে সাধারণ মানুষ সাধ্যের মধ্যেই বাড়ি কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে নির্মাণ শিল্পে জোয়ার আনতেই এই ঘোষণা বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে দেউলিয়া ঘোষিত বা অনুৎপাদক সম্পদের আওতায় থাকা আবাসন প্রকল্পগুলি এই সুবিধা পাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও নির্মাণ শিল্পে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাঁরাও ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিশেষ করছাড়াও দেওয়া হবে তাঁদের। এর পাশাপাশি ১০ বছরের সরকারি ঋণপত্রের সঙ্গেও সেটি সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। তাতেও উপকৃত হবেন ব্যবসায়ীরা। গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্বে থাকবেন বিশেষজ্ঞদের একটি দল।
এই প্রকল্পে বিশেষ করে সরকারি কর্মচারীরা উপকৃত হবেন বলে দাবি নির্মলার সীতারামন। তাঁর যুক্তি, ‘‘বাড়ি বিক্রির চাহিদায় সরকারি কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পছন্দের আবাসন সাধ্যের মধ্যে পেলে তাঁরা নতুন বাড়ি কিনতে উৎসাহী হবে।’’
আরও পড়ুন: যা হবে দেখতে পাবেন, বললেন সিবিআই কর্তা, রাজীব এখনও ‘নিরুদ্দেশ’
অন্য দিকে, ছোট খাটো করফাঁকির ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় পদক্ষেপ করা হবে না বলেও এ দিন আশ্বস্ত করেন নির্মলা সীতারামন। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে রফতানি শুল্কেও বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে পাক সেনা, দাবি ভারতীয় সেনা আধিকারিকের
তবে তাঁর যুক্তির তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘এই গভীর সঙ্কট থেকে কীভাবে বেরনো যায়, আসলে তা বুঝেই উঠে পারছেন না অর্থমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণাই নেই ওঁর। আজ যে যে পদক্ষেপের ঘোষণা হয়ছে, তার একটাও দেশের অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পারবে না। সব জনমোহিনী প্রকল্প, এ দিক ও দিক ছড়ানো ছিটানো। এতেই এই সরকারের ঔদ্ধত্যের পরিচয় মেলে। এখনও পরিস্থিতির গুরুত্বই বুঝে উঠতে পারছে না।’’