PM Modi

‘মোদীজির ছবি চান? এখানে রয়েছে’, তেলঙ্গানার জেলাশাসককে নির্মলার ধমকের পাল্টা কেসিআরের দলের

জেলাশাসককে নির্মলার ধমকের বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে সরব টিআরএস কর্মীরা। একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তাঁরা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিলিন্ডারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি, নীচে দাম লেখা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪৫
Share:

এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সাঁটিয়ে দিলেন টিআরএস কর্মীরা। —ছবি টুইটার থেকে।

রেশনের দোকানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে নির্মলা সীতারামনের মন্তব্যকে এক হাত নিলেন এ বার তেলঙ্গানার আর এক মন্ত্রী। কম যান না শাসকদল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র কর্মী-সমর্থকেরাও। রেশন দোকানের পরিবর্তে এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সাঁটিয়ে দিলেন তাঁরা। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না। সেই ছবিও ভাইরাল।

Advertisement

তেলঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি হরিশ রাও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা এ সব বলে আসলে ‘প্রধানমন্ত্রীকে এক স্তর নামিয়ে আনলেন’। হরিশের কথায়, ‘‘নির্মলা এমন করে বলছেন, যেন কেন্দ্র বিনামূল্যে রাজ্যকে চাল দেয়। যে পাঁচ থেকে ছ’টি রাজ্য দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তোলে, তাদের মধ্যে অন্যতম তেলঙ্গানা। তা হলে কি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি এ রাজ্যের পাশাপাশি অন্য রাজ্যেও থাকা উচিত?’’

জেলাশাসককে নির্মলার ধমকের বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে সরব টিআরএস কর্মীরা। একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তাঁরা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিলিন্ডারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি, নীচে দাম লেখা ১,১০৫ টাকা। এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করে তাঁরা লিখেছেন, ‘নির্মলাজি, আপনি মোদীজির ছবি চান, এখানে রয়েছে...’।

Advertisement

শুক্রবার তেলঙ্গানার কামারেড্ডির জেলাশাসক জিতেশ ভি পাটিলকে কড়া ধমক দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিরকুরের রেশন দোকানে দাঁড়িয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, অতিমারির প্রভাব কাটাতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় তাদের চাল সরবরাহ করছে কেন্দ্র। অথচ তেলঙ্গানার রেশন দোকানে ছবি নেই সেই প্রধানমন্ত্রীর।

জেলাশাসকের উদ্দেশে নির্মলা আরও বলেন, ‘‘অতিমারি শুরুর পর ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল থেকে কেন্দ্র ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরের চাল বিনামূল্যে বণ্টন শুরু করেছে। আপনি বলতে পারেন, এতে কেন্দ্র আর রাজ্যের অবদানের অনুপাত?’’ জবাব নেই বলে জানিয়ে দেন পাটিল। তার পরেই নির্মলা আরও রেগে গিয়ে বলেন, ‘‘ভাবুন আর আধ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিন।’’

এ নিয়ে শুক্রবার রাতেই টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কে টি রামা রাও। টুইটারে লেখেন, ‘কামারেড্ডির জেলাশাসকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে ব্যবহার করলেন, তাতে আমি আতঙ্কিত। পরিশ্রমী আইএএস অফিসারদের মনোবল ভেঙে দেবে।’

প্রসঙ্গত, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর চেষ্টা করছেন। বিরোধী দলের সরকার রয়েছে যে রাজ্যে, সেখানে ঘুরে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তার জেরেই কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাত বেড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement