নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত পবন গুপ্ত। —ফাইল চিত্র
মুকেশের সামনে ফাঁসি ছাড়া আর কোনও পথ নেই। এটা নিশ্চিত হতেই এ বার আইনি লড়াই শুরু করল নির্ভয়া কাণ্ডে অন্য অভিযুক্ত পবন গুপ্ত। অপরাধের সময় সে নাবালক ছিল, নয়া এই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পবন। আইনজ্ঞ মহলের ধারনা, ফাঁসির প্রক্রিয়া দেরি করতেই এক এক দোষী আলাদা আলাদা করে আইনের সংস্থান খুজছে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়া নির্ভয়াকে চলন্ত বাসে তুলে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল মোট ৬ জন— মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিংহ, পবন গুপ্ত, রাম সিংহ এবং এক নাবালক। এদের মধ্যে বিচার চলাকালীনই তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করেন রাম সিংহ। অন্য দিকে জুভেনাইল আইনে নাবালক দোষীর বিচার হয়েছিল। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তাকে সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা ঘোষণা করেছিল। সেই সাজার মেয়াদ শেষে ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে সেই অভিযুক্ত।
আদালতে একই আর্জি জানিয়েছিল পবন গুপ্তও। অর্থাৎ অপরাধের সময় সেও নাবালক ছিল বলে দাবি করেছিল। কিন্তু সেই আর্জি প্রথমে নিম্ন আদালত খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টে যায় পবন। সেখানেও সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে পবনের সেই আর্জি গত ১৯ ডিসেম্বরই খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে পবন।
আরও পড়ুন: নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসি ১ ফেব্রুয়ারি, নয়া পরোয়ানা জারি আদালতের
আরও পড়ুন: নির্ভয়া মামলায় ফাঁসির নতুন দিন চাইল তিহাড়
অন্য দিকে আদালতের সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ হওয়ার পর প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল মুকেশ সিংহ। আজ শুক্রবারই মুকেশের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।