নির্ভয়া কাণ্ডের চার দণ্ডিতের একজন, অক্ষয় ঠাকুর। ফাইল চিত্র
হাতে সময় আর মাত্র তিন দিন। সেই সময় প্রলম্বিত করে প্রাণ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করে চলেছে নির্ভয়া কাণ্ডের চার দণ্ডিতই। এ বার ফাঁসির সাজা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করল নির্ভয়াকাণ্ডে অন্যতম দণ্ডিত অক্ষয় ঠাকুর। ইতিপূর্বে মুকেশকুমার সিংহ এবং পবনকুমার গুপ্তর পিটিশন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অক্ষয়ের কিউরেটিভ পিটিশনের রায় ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায়।
গত মাসেই একবার সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়েছিল অক্ষয়কে। মৃত্যুদণ্ড এড়াতে সে বার দিল্লির দূষণকে কাঠগড়ায় তুলেছিল নির্ভয়ার ধর্ষক অক্ষয়। ক্ষমাভিক্ষা নয়, নতুন করে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল সে। তার যুক্তি ছিল, দিল্লির দূষণে তো এমনিতেই তার আয়ু কমছে। তা হলে ফাঁসি দিয়ে লাভ কী! রিভিউ পিটিশনে এমন বেনজির যুক্তিতে হতবাক হয়ে যান আইনজীবী মহলেরও একটা বড় অংশ। সেই আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন:১৮২ জন তরুণীর ঘনিষ্ঠ ভিডিয়ো তুলে গ্রেফতার কলকাতার ৩ যুবক
আরও পড়ুন:নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনিদের ফাঁসি কি ফের পিছিয়ে যাবে?
নির্ভয়াকাণ্ডের চার অপরাধীর ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় ফাঁসির পরোয়ানা জারি হয়েছে। চার জনের মধ্যে এক জন, মুকেশ সিংহ, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল। রাষ্ট্রপতি তা খারিজ করে দিলে বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনার দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুকেশ। মঙ্গলবার মুকেশের আইনজীবী দাবি করেন, তিহাড় জেলে শারীরিক অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছিল মুকেশ। মুকেশের আইনজীবী অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতি তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বুধবার মুকেশের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে মুকেশের জন্যে ফাঁসি এড়ানোর আর কোনও পথই আর খোলা রইল না। সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দেয়, সব দস্তাবেজ যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কোনও তাড়াহুড়ো করা হয়নি সিদ্ধান্ত নিতে।