ফের আদালতে দোষীদের আইনজীবী।—ফাইল চিত্র।
ফাঁসির দিন ক্ষণ নিয়ে সংশয়ের মধ্যেই এক বার ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন নির্ভয়াকাণ্ডের চার দণ্ডিত বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত, অক্ষয় ঠাকুর এবং মুকেশ সিংহের আইনজীবী এপি সিংহ। পবন, অক্ষয়ের হয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। তাতে রায় সংশোধনের আর্জি জমা দিতে দেরি হওয়ার জন্য তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন এপি সিংহ।
শুক্রবার আদালতে এপি সিংহ জানান, আদালতে রায় সংশোধনের আর্জি জমা দিতে চায় ওই তিন জন। কিন্তু তার জন্য যে কাগজ ও নথিপত্রের প্রয়োজন, তা আটকে রেখেছেন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। তার জন্যই রায় সংশোধনের আর্জি জমা দিতে দেরি হচ্ছে তাঁদের। শনিবার এপি সিংহের ওই আবেদনের শুনানি করবে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।
এপি সিংহের দাবি, তিহাড় জেলের তরফে কাগজপত্র হাতে এলেই হল। মক্কেলদের হয়ে আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যেই আদালতে রায় সংশোধনের আর্জি জানাবেন তিনি। তাতে জেলের মধ্যে দণ্ডিতদের আচরণ, পারিবারিক দায়-দায়িত্ব-সহ একাধিক বিষয় তুলে ধরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করার আর্জি জানাবেন।
আরও পড়ুন: ‘বৃহত্তম গণতন্ত্রে বিপদ ডেকে আনছেন’, মোদী ও বিজেপিকে তোপ ব্রিটিশ পত্রিকার
আরও পড়ুন: হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার তাগিদে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করছেন মোদী, দাভোস থেকে তোপ ধনকুবের সোরসের
এর আগে, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংহের রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ওই চার জনকে একসঙ্গে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা। তবে বিভিন্ন আইনি সংস্থানকে হাতিয়ার করে দোষীদের আইনজীবী বার বার ফাঁসি পিছনোর চেষ্টা করছেন বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী। আইন নিয়ে খেলা করার জন্য ওই চার জনকে এক এক করে ফাঁসি দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্য দিকে, সাজাপ্রাপ্তরা ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার যে কৌশল নিয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র সরকারও। তাতে ফাঁসি দেওয়ার প্রশ্নে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।