—ফাইল চিত্র।
নির্ভয়াকাণ্ডে ধর্ষকদের ফাঁসি ফের পিছিয়ে গেল। সোমবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছেদণ্ডিত পবন গুপ্ত। সেই আবেদন এখন রাষ্ট্রপতির বিবেচনাধীন। এই অবস্থায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফাঁসি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত।
সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পবন গুপ্তকে। মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বাতিল করে তা যাবজ্জীবন কারাবাসে পরিণত করতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সে। ২০১২ সালে ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল বলে আদালতে দাবি করেছিল পবন।
কিন্তু তার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় পবন। সেই তথ্য জানিয়ে ফের পটিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হন পবনের আইনজীবী। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। তাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসি পিছিয়ে দেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানা।
আরও পড়ুন: অমিতের ইস্তফা দাবি বিরোধীদের, দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে উত্তাল সংসদ
আরও পড়ুন: কিশোরীকে গণধর্ষণ, খুনের পর ঝোলানো হল গাছে, অভিযুক্ত স্কুলপড়ুয়ারা
ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, ‘‘আসামির প্রাণভিক্ষার আর্জি নিয়ে যখন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, সেই অবস্থায় ফাঁসি কার্যকর করা যায় না। তাই ৩ মার্চ সকাল ৬টায় যে ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হল।’’
২০১২ সালে রাজধানীর বুকে চলন্ত বাসে ২৩ বছরের নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার ও পবন গুপ্তকে। গত ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু দণ্ডিতরা একে একে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে শুরু করলে পরে তা পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। শেষ মেশ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন করে মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। তাতে ৩ মার্চ একসঙ্গে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বার তা-ও পিছিয়ে গেল।