নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চার অপরাধী। —ফাইল চিত্র
জল্পনা ছিলই। আজ সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিলেন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। নির্ভয়া মামলায় দণ্ডিতদের ফাঁসির জন্য দিল্লি সরকারের কাছে নতুন দিন-ক্ষণ স্থির করার আর্জি জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। আজ দিল্লির এক আদালতে এ কথা জানিয়েছে তারা। ৭ জানুয়ারি দিল্লির দায়রা আদালত রায় দিয়েছিল, ২২ জানুয়ারি বিনয় শর্মা, মুকেশ কুমার, অক্ষয়কুমার সিংহ ও পবন সিংহের ফাঁসি হবে। আদালত চার জনকে আইনি পদক্ষেপের শেষ ধাপ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনীর আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের জন্য ১৪ দিন সময় দেয়।
কিন্তু কাল দিল্লি সরকারের প্রতিনিধি ও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে জানান, মুকেশ কুমার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোয় ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হওয়া সম্ভব নয়। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি তাঁর সিদ্ধান্ত জানানোর পরে অন্তত ১৪ দিন অপেক্ষা করেই ফাঁসি কার্যকর করতে হয়। কারা বিভাগের আরও নিয়ম, একসঙ্গে একাধিক জনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হলে, এক জন যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টির মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বাকিদের ফাঁসিও স্থগিত রাখা হয়। ফলে মুকেশ একা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানালেও বাকিদের ফাঁসিও পিছিয়ে যাচ্ছে।
ফাঁসি পিছিয়ে যাওয়ার দায় দিল্লির আপ সরকারের উপরেই চাপিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘চার অভিযুক্তের এখনও ফাঁসি না হওয়ার জন্য দায়ী দিল্লির আপ সরকার।’’ তাঁর মতে, দণ্ডিতদের প্রতি আপ সরকারের নরম মনোভাবের কারণেই ফাঁসির সাজায় আড়াই বছর দেরি হয়ে গেল। বিজেপি মন্ত্রীর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ। দেরির দায় বিজেপির উপরেই চাপিয়েছেন তিনি। সঞ্জয়ের দাবি, মিথ্যা বলে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন জাভড়েকর। এই রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে এই ধরনের মন্তব্যের জন্য মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।