নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
বিচার পাওয়া গেল। নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসির পরই শুক্রবার টুইট করে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দীর্ঘ সাত বছর ধরে বিচারপর্ব চলার পর অবশেষে এ দিন সাত সকালেই দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় নির্ভয়ার চার ধর্ষক মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত এবং অক্ষয় কুমার সিংহকে। মেয়ের ধর্ষকদের ফাঁসির পরই আশাদেবী বলেন, “দীর্ঘ অপেক্ষা পী়ড়া দিয়েছে। অবেশেষে স্বস্তি পেলাম।’’
সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকেও অনেকটা একই রকম প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। নির্ভয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বলিউডও। চুপ করে থাকেননি খোদ প্রধানমন্ত্রী। এ দিন টুইট করে তিনি বলেন, “বিচার পাওয়া গেল। মহিলাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা রক্ষা করাই আমাদের প্রধান এবং মূল কাজ। আমাদের নারীশক্তি সর্বক্ষেত্রেই কৃতিত্ব অর্জন করছে। সকল মিলে এমন একটা দেশ গড়ে তুলতে হবে যেখানে নারীশক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। যেখানে সমান সুযোগের উপর জোর দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: ‘দীর্ঘ অপেক্ষা পীড়া দিয়েছে, তবু স্বস্তি পেলাম’, মেয়ের ছবি আঁকড়ে ধরলেন আশাদেবী
আরও পড়ুন: ফাঁসির দড়ি এ দেশে শুধু বকসর জেলেই তৈরি হয়
ফাঁসি স্থগিত রাখতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল অপরাধীরা। এমনকি মাঝরাতেও তা নিয়ে একদফা শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। যদিও শেষমেশ তাদের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তার পরই শুক্রবার ভোরে ফাঁসি দেওয়া হয় চার অপরাধীকে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে, দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসের মধ্যে গণধর্ষণ এবং ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী, বছর ২৩-এর তরুণী। বাধা দিতে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর খেতে হয় তাঁর পুরুষ সঙ্গীকেও। ঘটনার পৈশাচিকতায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। তরুণীর আসল নাম পরে প্রকাশ্যে এলেও, নির্ভয়া নামেই তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন তত দিনে। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি নির্ভয়াকে। নির্মম অত্যাচারের ১৩ দিন পর, ২৯ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।