ছবি: সংগৃহীত।
মানসিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির দায়রা আদালতে উপযুক্ত চিকিৎসার আর্জি জানিয়েছিল নির্ভয়া-কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী বিনয়কুমার শর্মা। শনিবার সেই আবেদন খারিজ করল আদালত।
গত সোমবারই দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়েছে, নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত চার অপরাধীর ফাঁসি হবে ৩ মার্চ সকাল ৬টায়। শনিবার তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার আগে বিনয় ও অক্ষয় ঠাকুরকে নিয়মমাফিক পরিজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কবে তারা পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে চায়। চিঠি গিয়েছে তাদের পরিবারের কাছেও। তবে মুকেশ সিংহ ও পবন গুপ্ত আগেই পরিজনের সঙ্গে দেখা করে নেওয়ায়, তারা আর সেই সুযোগ পাবে না।
৩ মার্চ ফাঁসির আশঙ্কা জোরালো হওয়ার মধ্যেই নবনিযুক্ত আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করল না পবন। এ পি সিংহ নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পরে রবি কাজ়ি পবনের আইনজীবী হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তবে নতুন করে আর কিউরেটিভ পিটিশন জানার সুযোগ থাকছে না পবনের।
আরও পড়ুন: ভারতমাতার জয়ধ্বনির অপপ্রয়োগ: মনমোহন
মক্কেলের জন্য চিকিৎসার আর্জি পেশ করতে গিয়ে আজ বিনয়ের আইনজীবী এ পি সিংহ আদালতে জানান, স্কিৎজ়োফ্রেনিয়ায় ভুগছে বিনয়। জেলে সাক্ষাতের সময়ে বিনয় তাঁকে এবং নিজের মাকে চিনতে পারেনি বলেও জানান তিনি। সেই সময়েই তাঁর নজরে আসে বিনয়ের মাথা ও ডান হাতে গভীর চোট রয়েছে। যদিও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ সব বিকৃত তথ্য। জেলের চিকিৎসক বিনয়ের শারীরিক পরীক্ষা করেছেন। ক্ষত নিরাময়ে ওষুধও দিয়েছেন। তবে বিনয়ের মানসিক অসুস্থতার দাবি সম্পূর্ণ ভাঁওতা। তিহাড় জেলে যে মনোবিদ চার অপরাধীর চিকিৎসা করছিলেন, তিনিও জানিয়েছেন, সবাই সুস্থ। কোনও হাসপাতালে তার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিহাড় কর্তৃপক্ষের আইনজীবী। কারা কর্তৃপক্ষের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কোর্টও এ দিন বলে, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে, ফাঁসি এড়াতেই মানসিক অসুস্থতার গল্প ফাঁদছে অপরাধী।’’ তিহাড় কর্তৃপক্ষ জানান, বিনয় তার আইনজীবী ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। ফলে সে কাউকে চিনতে পারছে না, এই দাবি মিথ্যে।