নির্ভয়া মামলার দণ্ডিত মুকেশ সিংহ। -ফাইল চিত্র।
এ বার রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল নির্ভয়ার দণ্ডিত মুকেশ সিংহ। রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের জুডিশিয়াল রিভিউয়ের আবেদন জানিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টে গেল সে। শনিবার তার আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়টা পর্যালোচনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
ফাঁসির দিনক্ষণ নিয়ে সংশয় আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল। নির্ভয়া মামলার চার দণ্ডিত যে ফাঁসি পিছনোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে, তা তাদের আচরণ থেকেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। সেই সংশয়ের মধ্যে শুক্রবারই দুই দণ্ডিত পবন গুপ্ত এবং অক্ষয় ঠাকুরের হয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন তাদের আইনজীবী। তাতে তাদের রায় সংশোধনের আর্জি জমা দিতে দেরি হওয়ার জন্য তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আইনজীবী এপি সিংহ।
শুক্রবার আইনজীবী এ পি সিংহ দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলরা সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন (রায় সংশোধনীর আর্জি) এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে আগ্রহী। কিন্তু তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দেওয়ায় দণ্ডিতরা আপিল করতে পারছে না। শনিবার সেই মামলার শুনানির সময়, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এমন কোনও নথিই তাঁরা আটকে রাখেনি। সবই দণ্ডিতদের আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাক ও বাংলাদেশি মুসলিম তাড়ানো উচিত, সেনার মন্তব্যে বিতর্ক
চার দণ্ডিতের মধ্যে বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংহের রায় সংশোধনের আর্জি আগেই খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার পরই তাদের ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হয়। কিন্তু তার প্রায় ৭ দিন আগে অন্য দুই দণ্ডিত রায় সংশোধনের আর্জি জানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আবেদন করেছে, তেমনই শনিবার মুকেশ আবার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের জুডিশিয়াল রিভিউয়ের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বন্দি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হোক, ভারতের উপর চাপ বাড়িয়ে বলল আমেরিকা
২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া মামলার দণ্ডিতদের ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় অনেক আগেই ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু তার পর থেকে বারবারই নানা মামলা এবং আবেদনের গেরোয় ফাঁসি পিছিয়ে গিয়েছে। ৭ জানুয়ারি চার দণ্ডিতের ফাঁসির দিন ২২ জানুয়ারি ঘোষণা করে আদালত। কিন্তু তার পরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় মুকেশ। ফলে তা পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি তাদের ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু ফের দণ্ডিতরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় ওই দিনও তাদের ফাঁসি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে।