প্রতীকী ছবি।
গুরুগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে বদলি করা হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তিন অফিসারকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক অফিসারও।
অভিযোগ, ‘ফালা-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশন (এফআইএফ)’ নামে একটি সংগঠনের তহবিল সংক্রান্ত মামলায় ওই ব্যবসায়ীর নাম যাতে জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ২ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন এনআইএ-র ওই তিন অফিসার। টাকা পাওয়ার জন্য তাঁরা বার বার নানা ভাবে চাপ দিচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ীকে।
এনআইএ জানিয়েছে, এফআইএফ সংগঠনটি চালান সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ। এফআইএফ মামলায় নাম রয়েছে হাফিজেরও।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আধ ঘণ্টা ফোনে কথা বললেন মোদী
আরও পড়ুন- ইনদওর থেকে গ্রেফতার খাগড়াগড়-কাণ্ডের চক্রী জেএমবি জঙ্গি জহিরুল
এনআইএ-র এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ডিআইজি পদমর্যাদার এক অফিসারকে দিয়ে সেই অভিযোগের তদন্ত করানো হচ্ছে। সেই তদন্ত যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে, তার জন্যই তিন অভিযুক্তকে বদলি করা হয়েছে।’’
অভিযুক্ত তিন জনের অন্যতম পুলিশ সুপার সমঝোতা এক্সপ্রেস ও আজমেঢ় শরিফ সন্ত্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। বাকি দুই অভিযুক্তের এক জন সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর, অন্য জন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। অবিলম্বে তাঁদের যথাক্রমে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-তে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন এনআইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল।
এনআইএ-র এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা বলেছেন, ‘‘অভিযোগটিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। কোনও কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাবে না। তদন্ত শেষ হলে এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’’