গত ১৩ অক্টোবর মাইসুরু থেকে বিহারের দ্বারভাঙাগামী বাগমতী এক্সপ্রেসে আগুন। —ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি একের পর এক ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় কি নাশকতার ছক রয়েছে? তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে। শুক্রবার তদন্তকারী সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত তদন্তে কোনও নাশকতার ছকের আভাস মেলেনি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক এনআইএ আধিকারিকের কথায়, ‘‘একাধিক ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নাশকতার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে আমরা এখনও তদন্ত করছি।’’ গত দু’মাসে বেশ কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও গুজরাত, কখনও মধ্যপ্রদেশ আবার কখনও উত্তরপ্রদেশে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা করা হয়। রেললাইনের উপর গ্যাস সিলিন্ডার রেখে, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও লোহার পাত, কখনও মাটি ফেলে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানান, পর পর ঘটে যাওয়া রেল দুর্ঘটনার ঘটনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা হচ্ছে। তদন্ত করছে এনআইএ-ও।’’
সেপ্টম্বর মাসেই দু’টি বড় দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা মিলেছিল। অক্টোবরেও অব্যাহত ছিল একই ধারা। গত ১২ অক্টোবর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে কর্নাটকের মাইসুরু থেকে বিহারের দ্বারভাঙাগামী বাগমতী এক্সপ্রেস। তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ের অদূরে একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক কামরা। দু’টি কামরায় আগুনও ধরে যায়। ঘটনায় ন’জন আহত হন। এই ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে।