অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় সব মিলিয়ে মোট ২৪টি জায়গায় হানা দিল এনআইএ-র দল। ফাইল চিত্র।
উত্তরের পরে এ বার সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজ পেতে দক্ষিণের দুই রাজ্যেও শুরু হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র অভিযান। রবিবার দিনভর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় সব মিলিয়ে মোট ২৪টি জায়গায় হানা দিল এনআইএ-র দল। এর মধ্যে শুধু মাত্র অন্ধ্রপ্রদেশেই ২৩টি জায়গায় হানা দিয়েছে তারা। তেলঙ্গানার নিজ়ামাবাদে এক ব্যক্তির বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা। তাঁকে সমবার এনআইএ দফতরে যোগাযোগ করার নোটিস ধরানো হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৩টি জায়গায় একযোগে হানা দেয় এনআইএ-র ২৩টি দল। সন্ত্রাসে মদত এবং বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) সদস্যদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। কুর্নুল, গুন্টুর, নেল্লোরের পাশাপাশি নিজ়ামাবাদের হানা দেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা সংস্থাটির সূত্রে জানানো হয়েছে, পিএফআই-এর জেলা আহ্বায়ক সাদুল্লাহ, ও সংগঠনের সদস্য মহম্মদ ইমরান এবং মহম্মদ আবদুল মোবিনকে জেরার জন্য তুলে আনা হয়েছে। ক্যারাটে শেকানোর নাম করে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং হিংসা ছড়ানোর মতো অভিযোগে তাঁদের জেরা করা হচ্ছে। নানদয়াল এবং কুর্নুলে স্থানীয়রা এই তল্লাশির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অভিযোগ, বিনা কারণেই বহু লোককে হেনস্থা করা ও জেরার নামে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।
তেলঙ্গানার নিজ়ামাবাদে শাহিদ চৌসি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট এবং ব্যাঙ্কের পাসবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁকে হায়দরাবাদে এনআইএ দফতরে সোমবার ডাকা হয়েছে। শাহিদের দাবি, তিনি কোনওবেআইনি লেনদেন বা হিংসার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি একটি পরিষেবা কেন্দ্র চালান। কিন্তু তদন্তকারীরা তাঁর কোনও কথাই শুনতে চাননি বলেও অভিযোগ।