আব্দুর রহমান। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে আইএস সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথোপকথন চালাতেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিপদে পড়লে আইএস জঙ্গিরা যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পান এবং অস্ত্রশস্ত্রের জোগানে যাতে ভাটা না পড়ে, তার জন্য এই চিকিৎসক বিশেষ অ্যাপও তৈরি করছিলেন বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম আব্দুর রহমান। বয়স ২৮। চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া কলেজে কর্মরত তিনি। ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি)-র সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাঁর বাড়ি ও ক্লিনিক মিলিয়ে তিন জায়গায় অভিযান চালিয়ে নানা রকম ডিডিটাল সরঞ্জাম, মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
২০১৪ সালে রহমান সিরিয়া যান এবং টানা ১০ দিন ধরে সেখানে আইএস-এর মেডিক্যাল ক্যাম্পে জঙ্গিদের শুশ্রূষাও করেন বলেও জানিয়েছে এনআইএ। তাদের মুখপাত্র সনিয়া নারঙ্গ বলেন, ‘‘জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছেন রহমান। কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হওয়া জাহানজইব সামি ওয়ানি এবং সিরিয়ায় আইএস-এর সদস্যদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তিনি। ভারতে আইএস-এর ভিত মজবুত করাই তাঁদের লক্ষ্য ছিল। সংঘর্ষে আহত আইএস জঙ্গিদের জন্য অ্যাপ তৈরি করছিলেন রহমান। অস্ত্রশস্ত্র সংক্রান্ত একটি অ্যাপও তৈরি করা হচ্ছিল।’’
আরও পড়ুন: সুশান্ত-মৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: ২৭ লক্ষ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ২০ লক্ষ, নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ হারও
আইএসকেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে এ বছর মার্চ মাসে কাশ্মীরি দম্পতি জাহানজইব সামি ওয়ানি ও তাঁর স্ত্রী হিনা বশির বেগকে দিল্লির জামিয়া নগরের ওখলা বিহার থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভের আড়ালে ভারতে জঙ্গি সংগঠনের ভিত মজবুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় সম্প্রতি পুণের বাসিন্দা সাদিয়া আনওয়ার শেখ এবং নবিল সিদ্দিক খতরিকেও গ্রেফতার করে এনআইএ। তার পরই বেঙ্গালুরু থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা।