(বাঁ দিকে) মহারাষ্ট্রের নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল বিশ্নোই (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এ বার জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাইকে ধরতে মরিয়া এনআইএ। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হল ১০ লক্ষ টাকা। লরেন্সের ভাই আনমোল বিশ্নোই ওরফে ‘ভানু’র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভুয়ো পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারত ছেড়েছেন। প্রথমে চলে গিয়েছিলেন কেনিয়ায়। চলতি বছর তাঁকে শেষ বার দেখা যায় কানাডায়। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের সঙ্গেও আনমোলের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সিদ্দিকির শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বিশ্নোইয়ের ভাই।
২০২২ সালে পঞ্জাবের সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার খুনের সঙ্গে আনমোলের যোগ ছিল। তারও আগে বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনাতেও অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। সেই ঘটনার পর নিজেই সমাজমাধ্যমে দায় স্বীকার করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। মুম্বই পুলিশ আগেই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল। এ বার তাঁর মাথার দাম ধার্য করল এনআইএ। তাঁর সম্পর্কে কোনও তথ্য জানাতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে, জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তদন্তকারীদের ধারণা, আমেরিকা এবং কানাডা থেকে এখনও সক্রিয় আনমোল। সিদ্দিকিকে খুনের জন্য যে শুটারদের আনা হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন আনমোল। ‘স্ন্যাপচ্যাটে’ তার প্রমাণ মিলেছে। সূত্রের খবর, শুটারদের তিনি সিদ্দিকির পুত্র জ়িশানের একটি ছবিও পাঠিয়েছিলেন ওই অ্যাপের মাধ্যমেই। অনুমান করা হচ্ছে, তাঁদের লক্ষ্য ছিলেন জ়িশানও।
গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জ়িশানের দফতরের সামনে গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিকিকে। তিন জন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন ধরা পড়েছেন। তবে এখনও এক জন পলাতক। সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিন জনকে খুঁজছে পুলিশ।