মণিপুরের ইম্ফল নদীর উপরে ভেঙে পড়েছে সেতু। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার সেতু বিপর্যয় মণিপুরে। সদ্য নির্মিত একটি সেতু ভেঙে এক জনের মৃত্যু হয়েছে রবিবার। সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল মণিপুরের ইম্ফল নদীর উপরে। একটি ট্রাক ওই সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রাকের চালক ভিতরেই আটকে পড়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মণিপুরের ইম্ফল পশ্চিমের ওয়াঙ্গোই থানা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, এর আগে ওই একই সেতু দু’বার ভেঙে গিয়েছিল। তখন কেউ হতাহত হননি। একই সেতু এই নিয়ে তিন বার ভাঙল। কেন বার বার ওই সেতু ভেঙে পড়ছে, নেপথ্যে কোনও গলদ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার ভোর ৬টা নাগাদ সেতুর উপর দিয়ে ইম্ফল নদী পেরোচ্ছিল একটি ট্রাক। তার ভিতরে চার জন ছিলেন। সেতু আচমকা ভেঙে পড়ায় ট্রাকটি সোজা গিয়ে পড়ে নদীতে। সেই সময়ে ট্রাক থেকে লাফিয়ে জলে পড়েছিলেন বাকি তিন জন। কিন্তু চালক বেরোতে পারেননি। তার ফলে ট্রাকের সঙ্গেই নদীতে ডুবে যান তিনিও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকারীরা বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ট্রাকের ভিতর থেকে চালককে বার করেন এবং উপরে তোলেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মহম্মদ বোরজাও (৪৫)। ইম্ফল পশ্চিমেরই বাসিন্দা তিনি।
খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মণিপুরের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ সিংহ। ছিলেন এলাকার বিধায়ক খুরাইজিয়াম লোকনও। সংবাদমাধ্যমকে মন্ত্রী জানান, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। প্রকৃত কারণ খুঁজে বার করতে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী যদি এই ঘটনায় কারও দোষ খুঁজে পাওয়া যায়, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। দ্রুত সেতুর পুনর্নিমাণ শুরু হবে।’’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে পর পর সেতু বিপর্যয়ের খবর প্রকাশ্যে এসেছে বিহার থেকে। ন’দিনে সেখানে মোট পাঁচটি সেতু ভেঙে পড়েছে। তার মধ্যে পুরনো সেতুও যেমন আছে, তেমন নির্মীয়মাণ এবং সদ্য নির্মিত সেতুও রয়েছে। ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টির কারণে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়েছে। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল মণিপুরও।