Coronavirus Pandemic

ডেল্টা প্রজাতি রুখতে কমাতে হবে টিকার ব্যবধান, ল্যানসেটের সমীক্ষায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, শুধুমাত্র প্রথম টিকা যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের শরীরে ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া বেশ কম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২১ ১২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে জোরদার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হলে দু’টি টিকা নেওয়ার মধ্যে ব্যবধান কমাতে হবে। সম্প্রতি এ রকমই তথ্য উঠে এসেছে ল্যানসেট জার্নালের করা এক সমীক্ষায়। ভারতে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম প্রধান কারণ করোনাভাইরাসের এই ডেল্টা প্রজাতি। ওই সমীক্ষা জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসের আদি প্রজাতির বিরুদ্ধে ফাইজারের তৈরি টিকা যতটা কার্যকরী, করোনার ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওই টিকা অতটা কার্যকরী নয়।

Advertisement

সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, শুধুমাত্র প্রথম টিকা যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের শরীরে ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া বেশ কম। এমনকি দু’টি টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি ব্যবধান বেশি হয়, সে ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও টিকা নেওয়া থাকলে, কোভিডে আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তির হার অনেকটা কম হচ্ছে সেটাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।

ল্যানসেটের ওই গবেষণায় উঠে এসেছে, ফাইজারের প্রথম টিকা নেওয়া থাকলে করোনার আদি প্রজাতির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া ৭৯ শতাংশ। আলফা প্রজাতির (বি.১.১.৭) বিরুদ্ধে তা ৫০ শতাংশে নেমেছে। এই অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে আরও কম, ৩২ শতাংশ। বিটা প্রজাতি যা প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় মিলেছিল, তার বিরুদ্ধে মাত্র ২৫ শতাংশ।

Advertisement

করোনার নতুন প্রজাতিগুলিকে রোখার বিষয়টি নিয়ে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এমা ওয়াল বলেছেন, ‘‘আমাদের সমীক্ষার ফল বলছে, নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বিতীয় টিকা দ্রুত দিয়ে দিতে হবে। যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনায় কম তাঁদের বুস্টার দিতে হবে।’’

এই সমীক্ষা ভারত সরকারের টিকাকরণ নীতি নিয়ে তুলছে প্রশ্ন। ডেল্টা ভাইরাসের রমরমা সবথেকে বেশি ভারতে। কিন্তু সম্প্রতি কোভিশিল্ডের দু’টি টিকা নেওয়ার মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ব্যবধান করা হয়েছে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। বিরোধীদের অভিযোগ, টিকার ঘাটতি সামাল দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ল্যানসেটের এই সমীক্ষাও কিন্তু দুই টিকার ব্যবধান বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement