Scam

বিদেশে ডাক্তারি পড়ার টোপ বঙ্গ-সহ বহু রাজ্যে

লালবাজার সূত্রের খবর, এ ভাবে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই ব্যক্তি। মূলত বিদেশে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন দেখা তরুণ-তরুণীদেরই নিশানা করতেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৯
Share:

বিদেশে ডাক্তারিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার লোভনীয় টোপ ফেলে প্রতারণার জাল। প্রতীকী ছবি।

কারও কাছ থেকে নেওয়া হত কোটি টাকা, কাউকে কাউকে দিতে হত ৭০ লক্ষ। কিন্তু যে-কাজের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে এত টাকা আদায়, সেই ডাক্তারি পঠনপাঠনের সুযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অধরা থেকে যেত। অভিযোগ, বিদেশে ডাক্তারিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার লোভনীয় টোপ ফেলে প্রতারণার জাল শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্রের মতো কয়েকটি রাজ্যেও পেতেছিলেন আকাশ চট্টোপাধ্যায়। যিনি নিজে চিন থেকে ডাক্তারি পাশ করে এলেও এ দেশে প্র্যাক্টিস করার পরীক্ষা দেননি বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, এ ভাবে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই ব্যক্তি। মূলত বিদেশে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন দেখা তরুণ-তরুণীদেরই নিশানা করতেন তিনি। এই ধরনের পড়ুয়াদের টোপ দিয়ে, প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন আকাশ। সেই জাল ভিন্‌ রাজ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের হিসেব অনুযায়ী পড়ুয়া-পিছু ৭০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা নিতেন ওই অভিযুক্ত। কোথাও সরাসরি নিজে মাঠে নেমে, কখনও বা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পড়ুয়া শিকার করতেন আকাশ। সেই কাজে তিনি বঙ্গ-সহ গোটা দেশে শ’খানেকের বেশি কমিশন-ভিত্তিক এজেন্টও নিয়োগ করেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আকাশ দীর্ঘ কাল ধরে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তিন বছর আগে ভবানীপুর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাঁর নাম উঠেছিল। সে-বার তাঁর মা গ্রেফতার হলেও আকাশ পালিয়ে যান। চার্জশিটে তাঁর নামও ছিল পলাতক হিসেবে। অভিযোগ, তার পর থেকেই তিনি অন্যান্য রাজ্যে প্রতারণার জাল ছড়ানোর কাজে নেমে পড়েন।

Advertisement

ভবানীপুর থানার পুলিশ গত মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে থেকে আকাশকে গ্রেফতার করে। তাঁর স্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। সেই সূত্রে আকাশ বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিলেন বলে পুলিশের সন্দেহ। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এলাকার পাঁচটি থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে।

সম্প্রতি হাওড়ার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর দুই ছেলেকে ইউক্রেনে মেডিক্যাল পাঠ্যক্রমে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট নেয় আকাশের সংস্থা, যেটি বিধাননগর সেক্টর ফাইভে অবস্থিত। ভর্তির কিছু নথি দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই অভিভাবক। পুলিশের অভিযোগ, পড়ুয়াদের বলা হত, ডাক্তারির ক্লাস ভারতে বসেই করা যাবে। চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হবে বাইরে গিয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement