প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীরে জঙ্গি দল ছেড়ে যে সব যুবক আত্মসমর্পণ করতে চায় তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করতে চায় সেনা। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনার ১৫ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস রাজু।
আজ ১৫ নম্বর কোরের টুইটার হ্যান্ডলে প্রকাশিত এক ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে রাজু বলেন, ‘‘কাশ্মীরের যুবকদের এখনও জঙ্গি দলে যোগ দিতে উৎসাহিত করছে পাকিস্তান। যুবকদের প্রতি আমার বার্তা, তোমরা যে কোনও সময়ে আত্মসমর্পণ করতে পারো। তোমাদের দেখাশোনা করার ভার নেব আমরা। এমনকী জঙ্গি-দমন অভিযানের সময়েও তোমরা আত্মসমর্পণ করতে পারো। এই বার্তা আমরা জঙ্গি দলে যোগদানকারী যুবকদের পরিবার ও অন্য স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জানিয়েছি। সেনা যে এই প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে তার প্রমাণও দেওয়া হয়েছে।’’
কাশ্মীরে জঙ্গিদের জন্য এর আগে চালু হওয়া আত্মসমর্পণ নীতি ২০১৪ সালে বাতিল করে সরকার। সরকারি কর্তারা জানাচ্ছেন, জঙ্গিরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে আসত। ওই যুবকদের অনেকেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা মহিলাকে বিয়ে করে। আত্মসমর্পণের পরে সেই মহিলাদের গ্রহণ করতে রাজি হয় না যুবকদের পরিবার। ফলে অন্য সঙ্কট দেখা দেয়। ২০১৯ সালে শ্রীনগরে বিক্ষোভও দেখান কয়েক জন প্রাক্তন জঙ্গির স্ত্রী। নয়া আত্মসমর্পণ নীতিতে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: গরিবদের টিকা নিখরচায় কবে, সরব বিরোধীরা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজু জানান, কাশ্মীরে এখন ২১৭ জন জঙ্গি সক্রিয়। এই সংখ্যা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০১৮ সালের সঙ্গে তুলনা করলে জঙ্গি দলে যোগদানের সংখ্যাও অনেক কমেছে। জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টার প্রায় ৭০ শতাংশ রুখতে পেরেছে সেনা।
আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ে হবে তেরঙ্গা ওড়ানোর স্মৃতিসৌধ