প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তা জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। আজ এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি)।
কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রকের আমলা সঞ্জীব চতুর্বেদী, ২০১৭ সালের অগস্টে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলি জানতে চেয়েছিলেন। ২০১৪ সালের জুন থেকে আবেদন পেশ করার সময় পর্যন্ত তথ্য হাজির করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭-র অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সেই তথ্য জানাতে অস্বীকার করে। যুক্তি হিসেবে সিআইসি-রই একটি নির্দেশকে সামনে এনেছিল কেন্দ্র। জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে চতুর্বেদী সিআইসি-র দ্বারস্থ হন। এর পরেই গত বছরের অক্টোবরে সিআইসি জানায়, আরটিআই আইনে আবেদনকারীকে সঠিক জবাব দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তথ্য আধিকারিককে ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল সিআইসি।
কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশ পাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর আরটিআই আইনের ৭(৯) ধারা উল্লেখ করে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য দিতে অস্বীকার করে। জানায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং উচ্চ পদাধিকারীদের সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। সেই তথ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে ছড়িয়ে রয়েছে। বিষয়টি এতটাই ব্যাপক যে এ নিয়ে জানাতে গেলে সরকারি কর্মীদের বড় অংশকে এতেই মনোনিবেশ করতে হবে। আরটিআই আইনের ১৮ নম্বর ধারায় ফের সিআইসিকে অভিযোগ জানান চতুর্বেদী। যুক্তি দেন, ৭(৯) ধারায় তথ্য গোপন করতে পারে না প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ১ জুলাই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার সুধীর ভার্গব জানান, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।