কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়ার মন্ত্রিসভায় আরও ২৪ মন্ত্রীর শপথগ্রহণ হল শনিবার।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন সিদ্দারামাইয়া। গত ২০ জুন কান্তারাভা স্টেডিয়ামে সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার-সহ ১০ জন শপথ নিয়েছিলেন। শনিবার বিধানসৌধ ভবনে রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌতের কাছে শপথবাক্য পাঠ করলেন আরও ২৪ জন মন্ত্রী।
শনিবার শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও, রাহুল গান্ধীর ‘ঘনিষ্ঠ’ কর্নাটক যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কৃষ্ণা বায়রে গৌড়া, শিবকুমারের অনুগামী মহিলা কংগ্রেস নেত্রী লক্ষ্মী হেব্বলকর, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসআর বঙ্গারাপ্পার ছেলে মধু, প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি এশ্বর খান্ডারে। কিন্তু মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সভাড়ী। শেট্টার এ বার হেরে গেলেও কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন লক্ষ্মণ।
কর্নাটক বিধানসভার আসনসংখ্যা ২২৪। পরিষদীয় বিধি মেনে তাঁদের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪ জন মন্ত্রী হতে পারেন। গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার-সহ ১০ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। অর্থাৎ আরও ২৪ জন মন্ত্রী শপথ নিতে পারতেন দাক্ষিণাত্যের ওই রাজ্যে। সেই ‘কোটা’ পূর্ণ হল শনিবার। শপথ নেওয়া ২৪ মন্ত্রীর ২৩ জনই বিধায়ক বা বিধান পরিষদের সদস্য। একমাত্র ব্যতিক্রম কংগ্রেস হাই কমান্ডের ঘনিষ্ট এনএস বোসেরাজু।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল এবং কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এর পর শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে আলোচনায় নয়া মন্ত্রীদের নাম চূড়ান্ত হয় বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর।