নতুন ‘অতিথি’কে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নতুন অতিথি। নাম তার ‘দীপজ্যোতি’। মানবসন্তান নয়। গোশাবক।
দিল্লির সাত নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ময়ূর বরাবরই ছিল। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে গরু পোষা শুরু হয়। দক্ষিণ ভারতের অধুনা বিরল প্রজাতির পুঙ্গানুর প্রজাতির গরু পুষছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাসভবনে নতুন অতিথি এসেছে। গোশাবকের ছবি দেখে বিজেপি নেতারা বলছেন, ‘‘এ সেই পুঙ্গানুর প্রজাতির গরুরই বাছুর।’’
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর এক্স-হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে, গায়ঃ সর্বসুখ প্রদাঃ। প্রধানমন্ত্রীর আবাসে প্রিয় গোমাতা এক নতুন সন্তানের জন্ম গিয়েছে। এর মাথায় জ্যোতির চিহ্ন রয়েছে। তাই আমি এর নাম রেখেছি দীপজ্যোতি।’’ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীপজ্যোতির ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই সোফায় বসে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘরে, বাগানে হাঁটছে। কখনও মোদীর গাল চেটে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাছুরকে কোলে নিয়ে এ ঘর থেকে ও ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি পুজোর সময়েও দীপজ্যোতিকে পাশে নিয়ে বসছেন। তার গলায় গোলাপ-গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে দিচ্ছেন। বিজেপি নেতারা বলছেন, মূলত অন্ধ্রপ্রদেশেই পুঙ্গানুর প্রজাতির গরু মেলে। এদের উচ্চতা কম হয়। কিন্তু এই প্রজাতির এই গরু এখন কমে এসেছে। তাই দক্ষিণ ভারতের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই এখন নিজের বাড়িতে পুঙ্গানুর গরু পোষেন। জানুয়ারি মাসে মকর সংক্রান্তিতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবনে এই পুঙ্গানুর গরুর সঙ্গেই তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন।