অযোধ্যায় চালু হল নতুন বিমান পরিষেবা — ফাইল চিত্র।
উদ্বোধনের পরের দিন থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রামমন্দিরের দরজা। দলে দলে পুণ্যার্থীরা ভিড় করছেন অযোধ্যায়। বাস, ট্রেনের পাশাপাশি বেড়েছে বিমানের চাহিদাও। সেই কথা মাথায় রেখেই আটটি নতুন রুটের বিমান পরিষেবা চালু করা হল অযোধ্যায়। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিণ্ডে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই বিমান পরিষেবার উদ্বোধন করেন।
স্পাইসজেট অযোধ্যায় নতুন বিমান পরিষেবা চালু করল। নতুন বিমানগুলি অযোধ্যায় আসবে দিল্লি, চেন্নাই, আমদাবাদ, জয়পুর, পটনা, দ্বারভাঙা, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু থেকে। রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় নতুন বিমানবন্দরের ‘ফিতে’ কাটেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি।
এর আগে, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো অযোধ্যায় বেসরকারি বিমান পরিষেবা চালু করেছিল। দিল্লি, আমদাবাদ, কলকাতা, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু থেকে ‘সরাসরি’ বিমান পরিষেবা ছিল। এবার আরও নতুন আটটি পরিষেবার সূচনা হল। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রামমন্দিরের উদ্বোধনের কারণেই অযোধ্যায় অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের নতুন পথ খুলে গিয়েছে। উদ্বোধনের পরে ১০ দিন কেটে গেলেও রামমন্দির দর্শনে ভিড়ের ছবির তেমন পরিবর্তন হয়নি।
গত ২২ ডিসেম্বর মহা ধুমধামের সঙ্গে উদ্বোধন হয় রামমন্দিরের। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয় রামলালার। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘প্রধান যাজক’ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোদী। উদ্বোধনের দিন রামমন্দিরের ঢোকার অনুমতি ছিল না সাধারণ মানুষের। তার পরের দিন থেকেই বহু পুণ্যার্থী বালক রাম দর্শনের জন্য ভিড় করেন মন্দিরের বাইরে। শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও মানুষ আসছেন অযোধ্যায়।