Nitish Kumar

Bihar: বিহারে শুরু ভোট অঙ্কের নয়া সমীকরণ

মহাজোটের নতুন সরকার গড়ার কয়েকদিন যেতে না যেতেই বিহারের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠছে জাতপাত ও সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২২ ০৭:২৫
Share:

মণ্ডল রাজনীতির নতুন সংস্করণ দেখা যেতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। ফাইল ছবি

নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে মহাজোটের নতুন সরকার গড়ার কয়েকদিন যেতে না যেতেই বিহারের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠছে জাতপাত ও সংখ্যালঘু ভোটের সমীকরণে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ ও বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী অভিযোগ করেছেন, মুসলিম তোষণের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন নীতীশ কুমার। ঘটনা হল, নীতীশ যে দিন শপথ নিলেন, সেই ১০ অগস্টই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দফতর থেকে সব জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে চিঠি যায়— রাজ্যে উর্দু শিক্ষকের শূন্য পদগুলি পূরণ করতে হবে। বাংলা শিক্ষকের শূন্য পদের বিষয়েও খোঁজখবর করা হয়। মনে করা হচ্ছে, বিহারে বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ।

বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিংহ এর পর নতুন সরকারকে নিশানা করে বলেন, “সংস্কৃত নিয়ে নীতীশ কুমারের মাথাব্যথাই নেই, কিন্তু উর্দু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তোষণের রাজনীতি শুরু।” রেণুকা দেবীও টুইট করেন, “সংস্কৃত নিয়ে নতুন সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু উর্দু নিয়ে ভাবা হয়েছে। তোষণের দোকান খোলা হয়ে গিয়েছে। মানুষ এর শিক্ষা দেবেন।”

Advertisement

রাজনৈতিক শিবিরের মতে, এ তো সবে শুরু। নীতীশ কুমারের নতুন সরকার আসার পর, চব্বিশের লোকসভা ভোটের দিকে নজর রেখে বিহারে সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তির নতুন বিন্যাস শুরু হতে চলেছে। মণ্ডল রাজনীতির নতুন সংস্করণ দেখা যেতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। বিজেপি গত কয়েক বছরে নীতীশ কুমারের উপর ভর দিয়ে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, দলিত ও সংখ্যালঘু ভোটের নিশ্চয়তা পেয়েছে। তাদের নিজস্ব হিন্দু উচ্চবর্ণের ভোটের জন্য মোদীর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। এখন জেডিইউ-আরজেডি নেতৃত্বের অগ্রাধিকার— অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি ভোটব্যাঙ্ককে বিজেপির থেকে বিচ্ছিন্ন করা। তবে বিজেপিও এই অংশকে প্রয়োজনীয় বার্তা দিতে চাইবে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, তাদের কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। কারণ, একদিকে মুসলিম তোষণের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে হিন্দু ভোটের মেরুকরণ করা, আবার নীতীশের কারণে এতদিন সঙ্গে থাকা ভোটকে যতটা সম্ভব ধরে রাখা। কাজটা কিছুটা পরস্পরবিরোধীও। সম্প্রতি বিহারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে দুর্বল শ্রেণির উন্নয়নের জন্য বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, এর পরেও বিহারে বিজেপির পক্ষে কোনওঢেউ ওঠেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement