দুই বোনের মধ্যে এক জন বাড়ি ফিরে অজ্ঞানও হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
হোমওয়ার্ক শেষ হয়নি। আর এই ‘দোষ’-এ দুই নাবালিকা বোনকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে বেদম মারলেন গৃহশিক্ষক। মারের চোটে আহত ওই দুই নাবালিকাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দিল্লির ভালসওয়া ডেইরি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই বিষয়ে ‘দিল্লি কমিশন ফর উইমেন (ডিসিডব্লিউ)’-এর তরফে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ওই দুই নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছয় এবং আট বছর বয়সি দুই মেয়ে পাড়ার এক শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তে যায়। ৩১অগস্ট সন্ধ্যায় যখন মেয়েরা টিউশন থেকে ফিরে আসে, তখন তারা কাঁদছিল। গায়ে ক্ষত এবং কালসিটের দাগও ছিল। এমনকি দুই বোনের মধ্যে এক জন বাড়ি ফিরে অজ্ঞানও হয়ে যায়। জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায়, হোমওয়ার্ক করে না নিয়ে যাওয়ায় গৃহশিক্ষক তাদের একটি ঘরে মধ্যে আটকে রেখে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে মারধর করেন।
মেয়েদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডিসিডব্লিউ -এর দ্বারস্থ হন ওই দুই নাবালিকার বাবা।
ডিসিডব্লিউ-এর তরফ থেকে দিল্লি পুলিশকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতেও সরব হয়েছেন ডিসিডব্লিউ সদস্যেরা ।
এই বিষয়ে ডিসিডব্লিউ প্রধান স্বাতি মালিওয়াল বলেন, “এটি একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা এবং ওই নাবালিকাদের যে ভাবে মারা হয়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। এক জন শিক্ষক কী ভাবে ছোট মেয়েদেরকে এত নৃশংসভাবে মারতে পারেন? বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”