হামলায় ব্যবহৃত অ্যাসিড এবং অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ছবি: টুইটার।
দিল্লিতে স্কুলছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত অ্যাসিড কেনা হয়েছিল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্ট থেকে! এমন তথ্যই উঠে এল দিল্লি পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত সচিন অরোরা হামলার জন্য ব্যবহার করা অ্যাসিড ফ্লিপকার্ট থেকে কিনেছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলছাত্রী অভিযুক্ত সচিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব শেষ করে দিতে চেয়েছিল। সেই রাগেই দুই বন্ধু বীরেন্দ্র সিংহ এবং হর্ষিত আগরওয়ালের সঙ্গে মিলে অ্যাসিড হামলার ছক কষেন সচিন।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার সাগর প্রীত হুদ্দা জানিয়েছেন, বন্ধুত্ব ভেঙে দেওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রী সচিনের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। আর সেই জন্যই প্রতিশোধ নিতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে মূল অভিযুক্ত।
তিনি আরও জানিয়েছেন, হর্ষিত যখন মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন, তখন সচিন বাইকের পিছন থেকে স্কুলছাত্রীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে দেয়। এর পর সচিনের মোবাইল এবং তার স্কুটি অন্যত্র চলে যায় বীরেন্দ্র। যাতে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সচিনের ফোনের লোকেশন পুলিশ না খুঁজে পায়।
বৃহস্পতিবার তিন অভিযুক্তকেই দ্বারকা আদালতে পেশ করা হবে। হামলায় ব্যবহৃত অ্যাসিড এবং অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে দেশের সব স্তরের মানুষ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে সরকার শহরের প্রতিটি শিশুর জন্য তিনি উদ্বিগ্ন। দোষীদের জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে রাজধানী দিল্লিতে প্রকাশ্য রাস্তায় অ্যাসিড হামলার শিকার হয় ওই কিশোরী স্কুলছাত্রী। অ্যাসিড ছুড়ে দেওয়া হল তরুণীর মুখে-চোখে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তরা বাইক চেপে ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে দেয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মর্মান্তিক ওই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।