Joshimath Disaster

বদ্রীনাথ হাইওয়েতে নতুন ফাটল, চওড়া হচ্ছে পুরনোগুলিও! চারধাম যাত্রা নিয়ে উদ্বেগ

শনিবারই চলতি বছরের চারধাম যাত্রার দিন ক্ষণ ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। কিন্তু তার পর জোশীমঠের কাছে বদ্রীনাথ হাইওয়েতে নতুন করে অন্তত ১০টি ফাটল দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২৫
Share:

বদ্রীনাথ হাইওয়েতে নতুন করে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাইল ছবি।

বদ্রীনাথ হাইওয়েতে নতুন করে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে চারধাম যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ফাটল ক্রমেই চওড়া হচ্ছে।

Advertisement

শনিবারই চলতি বছরের চারধাম যাত্রার দিন ক্ষণ ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। কিন্তু তার পর জোশীমঠের কাছে বদ্রীনাথ হাইওয়েতে নতুন করে অন্তত ১০টি ফাটল দেখা গিয়েছে বলে দাবি। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, জোশীমঠ এবং মারওয়ারি এলাকার মাঝে বদ্রীনাথ হাইওয়েতে এই ফাটলগুলি দেখা গিয়েছে। কোনও ফাটল রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের শাখার সামনে, কোনও ফাটল রয়েছে রেলওয়ে গেস্ট হাউজের কাছে, কোনওটি আবার মারওয়াড়ি সেতুর পাশে। বদ্রীনাথ সড়কের একটি ছোটখাটো অংশ বসে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জোশীমঠ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি নামের স্থানীয় একটি নাগরিক সমিতি জোশীমঠের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে। তার সদস্যদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ফাটল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছে না। একাধিক স্থানে পুরনো ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। নতুন ফাটলও মাথাচাড়া দিচ্ছে জোশীমঠের অলিগলিতে।

Advertisement

এর আগে হাইওয়েতে বেশ কিছু ফাটলে সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, রাস্তার সে সব অংশও নতুন করে ফাটতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা যা নিয়ে আতঙ্কিত। বিশেষজ্ঞেরা এই পরিস্থিতিতে চারধাম যাত্রার আয়োজন নিয়ে চিন্তিত। ফাটতে থাকা রাস্তার উপর দিয়ে চারধাম যাত্রার সময় অসংখ্য গাড়ি চলবে। তাতে রাস্তা আরও ফেটে বা নীচের দিকে বসে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলি পর্যবেক্ষণ ও মেরামত প্রয়োজন, মত বিশেষজ্ঞদের।

শনিবার উত্তরাখণ্ড সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, চারধাম যাত্রার অনলাইন পোর্টাল খুলবে আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে। কেদারনাথের তীর্থযাত্রা শুরু হবে ২৫ এপ্রিল। গত বছর বদ্রীনাথে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লক্ষেরও বেশি। যা নজির গড়েছিল। ২০১৯ সালে চারধাম যাত্রায় শামিল হন ১২ লক্ষ পুণ্যার্থী। এত মানুষের ভার বহন করতে পারবে তো এই অঞ্চল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement