National News

করোনা মোকাবিলায় দিল্লির সব বাড়িতে রক্তপরীক্ষা ৬ জুলাইয়ের মধ্যে

শহরের মোট ২৬১টি কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক রক্তপরীক্ষার কাজ ৩০ জুনের মধ্যেই শেষ করা হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ১০:১৭
Share:

করোনা রোগীর পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। দিল্লিতে। ছবি- পিটিআই।

জরুরি ভিত্তিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লির সবক’টি বা়ড়িতে বাধ্যতামূলক ভাবে রক্তপরীক্ষা করা হবে। আর শহরের মোট ২৬১টি কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক রক্তপরীক্ষার কাজ ৩০ জুনের মধ্যেই শেষ করা হবে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)’-এর নির্দেশিকা মেনে। সংক্রমণের হারে রাশ টানতে এটাই দিল্লি সরকারের নতুন পরিকল্পনা। দেশে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় মঙ্গলবার তামিলনাড়ুকে টপকে দিল্লি দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৭ জন। দেশের কোনও রাজ্যেই এখনও পর্যন্ত এক দিনে এত মানুষ সংক্রমিত হননি। এই নিয়ে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৬২ হাজার।

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এই সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর তিন দফার বৈঠকেই সংক্রমণ রুখতে এই নতুন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।

Advertisement

প্রতি দিনই দিল্লিতে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের আক্রান্ত হওয়া ও ৭৫ জন করে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।

আরও পড়ুন: লাদাখ সফরে সেনাপ্রধান, সেনা সরাতে রাজি দু’দেশ

আরও পড়ুন: স্বার্থের অঙ্কেই ভারত-চিন দ্বন্দ্ব মেটাতে সক্রিয় রাশিয়া

দিল্লি সরকারের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ‘‘রাজ্যের কনটেনমেন্ট এলাকাগুলিতে করোনা আক্রান্তের ঘটনার প্রায় ৪৫ শতাংশই ক্ষ‌েত্রেই গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।’’

জানানো হয়েছে, গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে দিল্লির লাগোয়া যে এলাকাগুলি ‘সিল’ করা হয়েছে, সেগুলিতে আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা ও রক্তপরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।

রাজ্যের জেলাগুলিতে নজরদারি কঠোরতর করারও পদক্ষেপ হয়েছে দিল্লি সরকারের মতুন পরিকল্পনায়। জেলাগুলিতে নজরদারির জন্য গড়া টাস্ক ফোর্সের তদারকির দায়িত্ব ছিল এত দিন জেলাশাসকের হাতে। এ বার সেই টাস্ক ফোর্সে জেলার পুলিশ কমিশনার, পুর অফিসার, এপিডিমিওলজিস্টদেরও রাখা হচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের শীর্ষে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নতুন কে সংক্রমিত হচ্ছেন, তার উপর নজর রাখতে সরকার যে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করছে, তার দেখভালের জন্য রাখা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদেরও। যাতে কোনও এলাকার সব বাসিন্দাই ওই অ্যাপ ডাউনলোড করেন, তার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে দিল্লি সরকারের নতুন পরিকল্পনায়।

সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে দিল্লির ২৬১টি কনটেনমেন্ট জোনের সব বাসিন্দার গতিবিধির উপর সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশ নজর রাখবে।

এ ছাড়াও, অত্যন্ত জনবহুল এলাকাগুলিতে আক্রান্তদের দ্রুত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে উপসর্গ থাকা ও উপসর্গহীন প্রতিটি রোগীর রক্তপরীক্ষা করা হবে ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে। আর স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে দু’টি হোটেলে। ‘জিঞ্জার হোটেল’ আর ‘টিউলিপ হোটেলে’। আর সেরোলজিক্যাল সার্ভের জন্য দিল্লিতে মোট ২০ হাজার মানুষের নমুনা রক্তপরীক্ষা করা হবে। তা আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে। যার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১০ জুলাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement