দীর্ঘ আলোচনা, ভোটাভুটির পর অসমে ব্যক্তিগত স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ নিয়ে সরকারের নতুন বিল পাশ হল বিধানসভায়।
বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন, আজ ওই বিল নিয়ে আলোচনা হয়। সরকার জানায়, হাইকোর্ট ২০১১ সালের অধিগ্রহণ আইন বাতিল করায় ২ হাজার ৮৮৯টি নিম্ন প্রাথমিক, ৩ হাজার ১৩৮টি উচ্চ প্রাথমিক, ৫৮১টি মাধ্যমিক স্কুল, ১৬২টি মাদ্রাসা মিলিয়ে মোট ৬ হাজার ৬০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৩ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর অধিগ্রহণ বাকি। অধিগ্রহণের যোগ্যতা থাকা স্কুল, মাদ্রাসা, টোলগুলি অধিগ্রহণ করা হলে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত প্রায় ৮০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। তা মেটাতে বসানো হবে কর, উপকর, টোল, শিক্ষা-সেস। ১০ হাজার স্কুলকে মিলিয়ে দেওয়া হবে। অগপর তরফে প্রফুল্ল মহন্ত, ফণীভূষণ চৌধুরী জানান, এত গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা দরকার। কংগ্রেস ২০০৬ সালের পর তৈরি স্কুলের অধিগ্রহণ না হওয়া-সহ বিভিন্ন দফার বিরোধিতা করে ‘ওয়াক আউট’ করে। বিলের বিভিন্ন দফা নিয়ে বিধায়কদের আপত্তি থাকায় রাত পর্যন্ত চলে অধিবেশন।
শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সকলকে অনুরোধ করেন, আজকের মধ্যে বিল পাশ না হলে হাজার হাজার শিক্ষক আশাহত হবেন। হাইকোর্ট ৬ মাসের মধ্যে নয়া আইন আনতে নির্দেশ দিয়েছে। তা-ও আটকে যাবে। আইন লাগু হলে পরে সংশোধনী আনা যেতেই পারে। বিধায়ক আমিনূল ইসলাম প্রস্তাব দেন, অধিগ্রহণ না হওয়ায় অর্থাভাব ও হতাশায় আত্মহত্যা করা শিক্ষকদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। তা বিবেচনার আশ্বাস দেন শর্মা। এর পর বিভিন্ন দফা নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি প্রত্যাহার না করায় ভোটাভুটি করা হয়। বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যা বেশি থাকায় আপত্তি খারিজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বেশি রাত বিলটি পাশ হয়।
পরে হিমন্ত বলেন, ‘‘৩৩ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর পরিবার বেঁচে গেল। যাঁদের ৭০ শতাংশই সংখ্যালঘু। কংগ্রেস আমলেই ২০০৬ সালের ভিত্তিবর্ষ নির্দিষ্ট হয়েছিল। তাঁরা নিজেদের দোষ
ওয়াক-আউট করেছে। বিটিসি ও স্বাশাষিত এলাকার স্কুল নিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিষদগুলি সিদ্ধান্ত নেবে।’’