Bharatiya Nyaya Sanhita

নাবালিকা ধর্ষণে ফাঁসি, ১০ বছরের জেল চাকরির টোপ দিয়ে সহবাসে, নয়া ‘ন্যায় সংহিতা’ বিলে যা যা নতুন

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়ম শীর্ষক তিনটি বিলে আইন থেকে ‘ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ জমানার প্রভাব এবং দাসত্বের মানসিকতা দূর করবে’ বলে দাবি শাহের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৪৭
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বিয়ে বা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অপরাধ রুখতে এ বার কড়া হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সোমবার লোকসভায় পাশ হওয়া বিলে এ ক্ষেত্রে ১০ বছর জেলের সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাজার বন্দোবস্ত রয়েছে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিয়ের ক্ষেত্রেও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, তথাকথিত ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে সঙ্ঘ পরিবারের ধারাবাহিক প্রচারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

বাদল অধিবেশনের শেষ দিন, শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আইনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়ম শীর্ষক ওই তিনটি বিলে আইন থেকে ‘ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ জমানার প্রভাব এবং দাসত্বের মানসিকতা দূর করবে’ বলে দাবি করেন তিনি। এর মধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

নয়া আইনে ১৮ বছরের কম বয়সি মহিলাকে ধর্ষণের সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা আজীবন কারাদণ্ড। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছর থেকে আজীবন জেলের সাজার কথা বলা হয়েছে। এমনকি, মহিলাদের হার বা মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার বিচারের জন্য রয়েছে নয়া আইন। যৌন হিংসার মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিত মহিলার বয়ান তাঁরই বাড়িতে এক জন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নথিবদ্ধ করার কথাও জানাচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement