National Education Policy

‘শিক্ষানীতিতে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ নয়’, ঘোষণা মোদীর

‘উচ্চশিক্ষার সংস্কারে ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতির ভূমিকা’౼শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে আজ ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:১৯
Share:

জাতীয় শিক্ষানীতি বিষয়ক ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি-সহ বিশিষ্টেরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

শিক্ষাকে অযথা সরকারি প্রভাব থেকে মুক্তই রাখতে চায় সরকার। নয়া শিক্ষানীতির প্রেক্ষিতে এই মনোভাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জানালেন, শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। সোমবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বিষয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত রাজ্যপালদের সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্র জাতীয় শিক্ষানীতিতে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ চায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়নের সহায়ক হবে, দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের নয়া দিশা দেখাবে।’’কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক আয়োজিত ‘উচ্চশিক্ষার সংস্কারে ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতির ভূমিকা’শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে আজ ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। রাজ্যপালদের এই সম্মেলনে আজ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক-সহ বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য এবং শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও যোগ দেন।

নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ‘‘শিক্ষানীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণের অন্যতম হাতিয়ার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থা সকলেরই শিক্ষাক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ ন্যূনতম হওয়া প্রয়োজন। বিদেশ কিংবা প্রতিরক্ষা নীতি কিন্তু নিছক সরকারি বিষয় নয়, রাষ্ট্রের বিষয়। শিক্ষানীতিও আসলে তেমনই।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, দেশের জনগণের সম্মিলিত ভাবে শিক্ষানীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে দায়িত্ব নেওয়া উচিত। তাঁর দাবি, শুধু লেখাপড়া নয়, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ছাত্রছাত্রীদের চিন্তাশক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিতে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আমদাবাদবাসীর কাছে ক্ষমা চান রাউত, ‘মিনি পাকিস্তান’ মন্তব্যে দাবি বিজেপির

কেরলের সদ্যপ্রয়াত সমাজকর্মী তথা দার্শনিক কেশবানন্দ ভারতীর কথাও এদিন এসেছে মোদীর বক্তৃতায়। সুপ্রিম কোর্টে ভারতীর দায়ের করা মামলা যে ভারতীয় সংবিধানের মূল কাঠামো সংক্রান্ত দিশানির্দেশ দিয়েছিল, সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৮৬ সালের শিক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় নীতি ঘোষণার ৩৪ বছর পর, একবিংশ শতাব্দীতে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ জানান, নয়া শিক্ষানীতিতে ভর করেই ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশ করবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শিক্ষানীতির সওয়ালে মোদীর হাতিয়ার রবীন্দ্রনাথ ও কালাম

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement