পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। ছবি: সংগৃহীত।
পাশের বাড়ির মহিলার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কের অভিযোগে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারলেন প্রতিবেশীরা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই দিন রাতে অম্বিকাপ্রসাদ পটেল নামে ওই যুবকের বাড়িতে এক দল লোক জোর করে ঢুকে পড়েন। তার পর তাঁকে টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে আসেন। প্রথমে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পর গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অম্বিকাপ্রসাদের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন নেই, টিভি বিকল! অনলাইন ক্লাস করতে না পেরে আত্মঘাতী কেরলের ছাত্রী
ঘটনার সূত্রপাত বছর খানেক আগে। পাশের বাড়ির এক মহিলার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই মহিলার বাড়ির লোকেরা আপত্তি জানায়। মাস কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে চাকরি পান মহিলা। কানপুরে পোস্টিং হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে অম্বিকাপ্রসাদ এবং ওই মহিলার একটি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক গন্ডগোল হয়।
প্রতাপগড়ের শীর্ষ পুলিশ কর্তা অভিষেক সিংহ বলেন, “অম্বিকাপ্রসাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন ওই মহিলা ও তাঁর বাবা। এর পরই অম্বিকার বিরুদ্ধে মহিলার সম্ভ্রম নষ্ট করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।”
অভিষেক আরও জানান, সোমবারই প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছিলেন অম্বিকা। রাতেই তাঁর উপর হামলা চালান প্রতিবেশীরা। অম্বিকাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলার বাবা। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।