ফাইল চিত্র।
মহিলা পরীক্ষার্থীদের হলে ঢোকার আগে অন্তর্বাস খুলতে বলেছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হল পাঁচ অভিযুক্তকে।
চিকিৎসক হওয়ার সর্বভারতীয় পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট)এর কেরলের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন এক ছাত্রীর বাবা। তিনি জানান, তার মেয়ের মতোই চিকিৎসক হওয়ার পরীক্ষা দিতে আসা আরও অনেক মহিলা পরীক্ষার্থীকে এই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। যদিও নিট পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে। তারা এ কথাও জানায় যে, অভিযোগ পেয়েই ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু তিনি জানান এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
কিন্তু ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ক্রমশ বিতর্ক বাড়তে থাকে। রাজ্য মহিলা কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলে। কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দুও এনটিএ-র দিকে আঙুল তুলে সোমবার টুইটে লেখেন, ‘‘এজেন্সির দিক থেকে এটা বিরাট বড় গাফিলতি। চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠিও লেখেন বিন্দু।যে সংস্থাকে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলেন তিনি। এর পর গ্রেফতার করা হয় ওই পাঁচ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ জনই মহিলা। এঁদের মধ্যে তিনজন ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বলেন।
অভিযোগ, মহিলা নিরাপত্তাকর্মীরা অন্য ছাত্র ও পুরুষ পরীক্ষকদের সামনে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলে স্টোর রুমে রাখতে বাধ্য করেন। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, আপত্তি করায় বলা হয়েছিল, ‘‘কোনটা তোমার কাছে বড়? অন্তর্বাস না পরীক্ষা?’’