Kota

‘দুঃখিত, এ বারও পারলাম না, বাবা’! চিরকুটে লিখে কোটায় আত্মঘাতী নিট পড়ুয়া, ৪৮ ঘণ্টায় দ্বিতীয় ঘটনা

রাজস্থানের ভরতকুমার রাজপুত (২০) গত তিন বছর ধরে কোটায় থেকে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ১৩:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজস্থানের কোটায় ফের ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট) প্রস্তুতি নিতে আসা ছাত্রের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে এল। বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। একই সঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে তারা। তাতে বাবাকে উদ্দেশ করে লেখা, ‘দুঃখিত, এ বছরও আমি পারলাম না’। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটল।

Advertisement

রাজস্থানের ভরতকুমার রাজপুত (২০) গত তিন বছর ধরে কোটায় থেকে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। থাকতেন রাজীব গান্ধী নগর এলাকার এক বাড়়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সেই ঘর থেকেই ভরতের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ভরত তাঁর ভাগ্নে রোহিতের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন রোহিত। সওয়া ১১টা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ভরতকে বার বার ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে ঘরের ভিতরে উঁকি দিতেই শিউরে ওঠেন রোহিত। দেখেন, তাঁর মামার দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে।

Advertisement

তার পরই অন্যান্যদের ডেকে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকেন রোহিত। ভরতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেন ভরত এমন পদক্ষেপ করল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ভরত তৃতীয় বার নিট দিয়েছিল। পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর জানা যায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ভরত। পুলিশের অনুমান, সেই আবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

রবিবারও কোটায় এক নিট ছাত্রের দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের রোহতকের বাসিন্দা ওই ছাত্রের দেহ তাঁর হস্টেলের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে জেলা প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ করেছে। হস্টেলে সিলিং ফ্যানে ‘অ্যান্টি হ্যাঙিং ডিভাইস’ লাগানো, বারান্দায় জাল বসানোর কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু তার পরও হস্টেল বা ভাড়া বাড়িতে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চলতি বছরে কোটায় এই নিয়ে এটি নবম আত্মহত্যার ঘটনা। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেও ২৯ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছিলেন কোটায়। ২০২২ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ১৫।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement