CAA

CAA: পিছিয়ে যাচ্ছে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন, সংসদেই জানিয়ে দিল অমিত শাহের মন্ত্রক

বিরোধীদের দাবি, সিএএ এবং এনআরসি-র আড়ালে দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ১৪:৪১
Share:

আইন সংক্রান্ত নিয়ম-নীতিই এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি অমিত শাহের মন্ত্রক। —ফাইল চিত্র।

আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু কিন্তু সেই সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি এখনও ঠিক হয়নি। তার জন্য আরও ছ’মাস সময় প্রয়োজন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, নিয়ম-নীতি ঠিক হলে তবেই দেশ জুড়ে সিএএ চালু হবে। অর্থাৎ যে আইন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গত দু’বছর ধরে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলে আসছে গোটা দেশে, সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন পিছিয়ে গেল ।

Advertisement

সিএএ-র কাজ কত দূর এগিয়েছে, কবে এর নিয়ম-নীতি প্রকাশ করা হবে, মঙ্গলবার সংসদে তা জানতে চান কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, সিএএ-র নিয়ম-নীতি ঠিক করতে আরও ছ’মাস সময় লাগবে। এর জন্য সংসদে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছে কেন্দ্র।

২০১৯ সালে ১২ ডিসেম্বর সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০২০-র জানুয়ারি মাসে তা আইনে পরিণত হয়। এখনও নিয়ম-নীতি ঠিক না হওয়ার কোনও ব্যাখ্যা যদিও দেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই শুধু বলেন, ‘‘এই আইনের নিয়ম-নীতি ঠিক করার জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভার কমিটির কাছে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

পড়শি দেশ থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘু নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ চালু করে কেন্দ্র। তাতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তার জন্য নিজের এবং বাবা-মায়ের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কোনও কারণে তা না দিতে পারলে ভারতে ছ’বছর বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন তাঁরা।

কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। বিরোধী নেতারাও এই আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)এবং সিএএ-র ব্যবহার করে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করতেই এই আইন এনেছে কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement