গৌতম আদানি এবং শরদ পওয়ার। ফাইল চিত্র।
অতীতে শরদ পওয়ার নিজেই জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানি তাঁরও ‘ভাল বন্ধু’। আদানির শূন্য থেকে শুরু করে ধনীদের তালিকায় প্রথম সারিতে উঠে আসা নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তুললেও, শরদ পওয়ার এর কৃতিত্ব গৌতম আদানিকেই দিয়েছিলেন।
সেই গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণা, কারচুপির অভিযোগে ইডি-র তদন্তে দাবিতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১৮টি বিরোধী দল যখন ইডি-র সদর দফতরে অভিযান করছে, তখন সেই মিছিলে অনুপস্থিত থাকল শরদ পওয়ারের দল এনসিপি। এই ‘অনুপস্থিতি’-কে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। এনসিপি নেতারা এ নিয়ে নিজেদের মতো ব্যাখ্যা দিলেও কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, গৌতম আদানির সঙ্গে শরদ পওয়ারের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার কারণেই এনসিপি আদানির বিরুদ্ধে ইডি-র তদন্তের দাবি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। কারণ অতীতে গৌতম আদানিও শরদ পওয়ারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা জানিয়েছেন। পওয়ার আমদাবাদ গেলে আদানির বাড়িরআতিথেয়তা গ্রহণ করেন, তা-ও কারও অজানা নয়।
বুধবার সকালে সংসদে কংগ্রেস সভাপতি তথা মল্লিকার্জুন খড়্গের দফতরে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দুপুরবেলা সংসদ ভবন থেকে মিছিল করে বিরোধী সাংসদরা ইডি-র সদর দফতরে যাবেন। ইডি-র ডিরেক্টরের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তিন পাতার একটি চিঠিতে সকলে সই করেন। সেই বৈঠকে এনসিপি-র দুই সাংসদ প্রফুল্ল পটেল ও বন্দনা চহ্বাণ হাজির থাকলেও তাঁরা সই করেননি। মিছিলেও অংশ নেননি।
কেন? এনসিপি-র সূত্রের বক্তব্য, চিঠির খসড়া আগেভাগে তাঁদের দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার তা দিয়ে দেওয়া হলে রাতে শরদ পওয়ারের সঙ্গে তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা সেরে রাখতে পারতেন। মহারাষ্ট্রে এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি-কে কাজে লাগানো প্রসঙ্গ চিঠিতে উল্লেখ করার পরামর্শ দিতেন। তা হয়নি বলেই এনসিপি চিঠিতে সই করেনি।