আরিয়ান-গ্রেফতারিতে বিজেপি যোগের অভিযোগ। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
ফের বিস্ফোরক নবাব মালিক। শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানের গ্রেফতারিতে বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজই মূল চক্রী, অভিযোগ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর। তাঁর আরও দাবি, গোটা আরিয়ান-পর্ব আসলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ছক।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীণ এনসিপি নেতা বলেন, ‘‘প্রমোদতরীতে যে পার্টি চলছিল তার টিকিট কেনেননি আরিয়ান খান। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালা তাঁকে পার্টিতে ডেকে আনেন। এটা আসলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ছক। মোহিত কম্বোজ গোটা ঘটনাটির মূল চক্রী এবং মুক্তিপণ আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি সমীর ওয়াংখেড়ের সহযোগী। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ, গত ৭ অক্টোবর সমীর ওয়াংখেড়ে ও মোহিত কম্বোজ গভীর রাতে ওশিওয়াড়া কবরস্থানের সামনে দেখাও করেছিলেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে নবাব বলেছেন, ‘‘দেখা করার খবর জানাজানি হয়েছে, এই সন্দেহে ওয়াংখেড়ে তাঁর পিছু নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশে অভিযোগ করেন। ওঁরা যথেষ্ট ভাগ্যবান যে সবচেয়ে কাছের সিসিটিভি অকেজো ছিল। তাই সে দিনের ছবি আমরা দেখাতে পারছি না।’’
অক্টোবরের শুরুতে প্রমোদতরীতে মাদক মামলা প্রকাশ্যে আসার পরই নবাব সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন, সে দিন রাতে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি)-র আধিকারিকরা অকুস্থল থেকে আরিয়ানদের সঙ্গেই ঋষভ সচদেবা, প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালাকে আটক করেছিলেন। কিন্তু পরে ওই তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নবাবের দাবি, ঋষভ সচদেবা সম্পর্কে বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজের শ্যালক। শনিবার মোহিত অভিযোগ করেছিলেন, জনৈক সুনীল পাটিল ঘটনার মূল চক্রী। সুনীল এনসিপি নেতা এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের ঘনিষ্ঠ। তারই পাল্টা হিসেবে এ বার বিজেপি নেতাকেই গোটা ঘটনার মূলচক্রী বলে তোপ দাগলেন নবাব মালিক।
অন্য দিকে, নবাব মালিকের বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা। ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে সওয়া এক কোটি টাকা।