উদ্ধবের সমালোচনা করার কারণ প্রকাশ্যেই ব্যাখ্যা করেছেন এনসিপি নেতা অজিত। ফাইল চিত্র
তিনি বিরোধী দলের নেতা। অথচ তাঁর গলায় শোনা গেল ‘সরকারপন্থী’ সুর! মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সরকারকে সহজে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করলেন এনসিপি নেতা তথা শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার। আর যাঁর সমালোচনা করে কথাটি বললেন, তিনি উদ্ধব ঠাকরে। যে উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন সেনা অজিতেরই দলের জোটসঙ্গী। এমনকি, রবিবারই দু’জনে পাশাপাশি বসে বৈঠকও করেছেন মহারাষ্ট্রের বিরোধী ঐক্য নিয়ে। তার ২৪ ঘণ্টা পরেই স্পষ্ট হল মহারাষ্ট্রের মহাজোটের অনৈক্য।
কেন উদ্ধবের সমালোচনা করেছেন অজিত? তার ব্যাখ্যা প্রকাশ্যেই দিয়েছেন এনসিপি নেতা। সোমবারই মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের ১৬ জন বিধায়ককে পদচ্যুত করার আর্জি জানিয়ে মহরাষ্ট্রের স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন উদ্ধব। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অজিত। বলেছেন, ‘‘উদ্ধবের চিঠিতে যদি বা এই ১৬ বিধায়ক পদচ্যুত হতে হয়, তার পরও শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মিলিজুলি সরকারকে মহারাষ্ট্রের গদিচ্যুত করা যাবে না।’’ অজিতের যুক্তি, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ওই ১৬ জন বিধায়ক পদচ্যুত হলেও সরকার ফেলা যাবে না। যদিও রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মত, অজিত যেমন বলছেন, বিষয়টি ততটা গুরুত্বহীনও নয়।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এই মুহূর্তে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং বিজেপির মোট বিধায়কের সংখ্যা ১৪৫। তবে এনডিএ জোটের অন্য জোটসঙ্গীদের সঙ্গে নিলে মোট বিধায়ক সংখ্যা ১৬২ জন। যা সরকার গঠনের জাদুসংখ্যার থেকে ১৭ বেশি। সেখানে এনডিএ জোট থেকে ১৬ জন বিধায়ক চলে গেলে বিরোধী এবং সরকার পক্ষের মধ্যে আসন তফাত থাকবে একটি। যা এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।
অজিতের এই মন্তব্য ঘিরে তাই আলোচনা শুরু হয়েছে। কর্নাটকে বিজেপির হারের পর উৎসাহিত হয়ে মহারাষ্ট্রের বিরোধীদের মহাজোট মহাবিকাশ আঘাডীর নেতারা রবিবারই একজোট হয়ে বৈঠকে বসেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদের বাড়িতে। সেখানে বর্ষীয়ান নেতা বিরোধী ঐক্য মজবুত করার কথাও বলেন। বৈঠকে উদ্ধব ছাড়াও ছিলেন অজিত, মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেকেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে পরবর্তী ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন। অথচ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্য রকম সুর শোনা গেল শরদেরই দলে।