এনসিসি ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। তার মধ্যেই জমা জলে মাথা গুঁজে উপুড় হয়ে রয়েছেন কয়েক জন তরুণ। লাল টিশার্ট পরা এক যুবক তাঁদের পিছনে হাঁটছিলেন আর একটু নড়াচড়া দেখলেই ওই তরুণদের পিঠে লাঠি দিয়ে সপাসপ মারছেন। কাদাজলের মধ্যে এক সারিতে মাথা গুঁজে পড়ে থাকা সেই তরুণদের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন ওই যুবক।
একটু এ দিক ও দিক হলেই ওই তরুণদের পিঠে পড়ছিলে লাঠির ঘা। যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠলেও ছাড়া হচ্ছিল না তাঁদের। পাশেই এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন আরও কয়েক জন। এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি ঠাণের বান্দোড়কর কলেজের। সেই কলেজে এনসিসি ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের সময় তাঁদের এক ঊর্ধ্বতনের বিরুদ্ধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সেই মারধরের ভিডিয়ো কলেজেরই একটি ঘর থেকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন এক ছাত্র। তাঁদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হয়, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কলেজে এনসিসি ক্যাডেটদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বান্দোরকড় কলেজের অধ্যক্ষ সুচিত্রা নায়েক জানিয়েছেন, ঘটনাটি সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, “বিষয়টিকে আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এই ধরনের আচরণ কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। যে সিনিয়র ছাত্র এই ধরনের কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই কলেজে ৪০ বছর ধরে এনসিসির প্রশিক্ষণ হয়। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমার ধারণা। তবে এই ঘটনা থেকে এটি স্পষ্ট যে, মানসিক ভাবে অসুস্থ কোনও মানুষই এই ধরনের কাজ করতে পারেন।”