‘আমিই এনসিবি-র মুম্বই ইউনিটের জোনাল ডিরেক্টর এবং এই পদেই বহাল থাকব। আমাকে কোনও পদ থেকে সরানো হয়নি।’
তাঁকে আরিয়ান খান সংক্রান্ত মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে এই ছিল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি)-র আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। পাশাপাশি তাঁর দাবি, তিনিই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে আরিয়ান খান মামলার তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। সমীর বলেন, ‘‘আমি নিজেই অনুরোধ করেছিলাম যাতে আরিয়ান খানের মামলা এবং নবাব মালিকের অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানো হয়। এটা আনন্দের খবর যে, দিল্লি থেকে আসা বিশেষ তদন্তকারী দল এই মামলার তদন্ত করবে।’’
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সমীর ওয়াংখেড়ে বলেছিলেন, ‘‘আমাকে তদন্ত থেকে সরানো হয়নি। আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে আমিই আর্জি জানিয়েছিলাম, যাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে মামলাটির তদন্ত করানো হয়। তাই আরিয়ান খান এবং সমীর খানের (নবাব মালিকের জামাতা) মামলার তদন্ত করবে দিল্লির এনসিবি। মূলত মুম্বই ও দিল্লির দল নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে তদন্ত করবে।’’
শুক্রবার সন্ধ্যায় আরিয়ান খান মাদক মামলা-সহ মোট ছ'টি মামলার তদন্ত এনসিবি মুম্বই শাখার কাছ থেকে নিয়ে তুলে দেওয়া হয় সেন্ট্রাল জোনের হাতে। এনসিবি-র সেন্ট্রাল ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিংহের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে ওই মামলাগুলির তদন্ত হবে। এনসিবি-র মুম্বই ইউনিটের জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে আর এই মামলাগুলির তদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। যদিও ওয়াংখেড়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযান জারি থাকবে।