PM Narendra Modi

নিজস্বী পোস্ট করে মোদী লিখলেন, ‘আমার বন্ধু’, কে এই কাশ্মীরি যুবক নাজ়িম?

৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথম বার জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের বক্সী স্টেডিয়ামে কর্মসূচি ছিল তাঁর। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন নাজ়িম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪০
Share:

নাজ়িম (বাঁ দিকে)-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।

প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফরে তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তোলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন নাজ়িম। তাতে সাড়া দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সেই নিজস্বী নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্টও করেছেন তিনি। সেখানে নাজ়িমকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, এই কাশ্মীরি যুবকের সঙ্গে কথা বলে তিনি খুশি। কে এই কাশ্মীরি যুবক নাজ়িম?

Advertisement

৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথম বার জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের বক্সী স্টেডিয়ামে কর্মসূচি ছিল তাঁর। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন নাজ়িম, যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে মোদী এক্সে লিখেছেন, ‘‘আমার বন্ধু নাজ়িমের সঙ্গে একটি স্মরণীয় নিজস্বী। তিনি যে ভাল কাজটি করছেন, তাতে আমি মুগ্ধ। জনসভায় তিনি নিজস্বী তোলার অনুরোধ করেন। ওঁর সঙ্গে দেখা হয়ে ভাল লাগল। ওঁর ভবিষ্যতের জন্য আমার শুভেচ্ছা।’’

প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে নিজের পথচলা তুলে ধরেন নাজ়িম। তিনি জানান, ২০১৮ সালে মধুর ব্যবসা শুরু করেন তিনি। তখন দশম শ্রেণিতে পড়েন। ছাদে দু’বাক্স মৌমাছি ছিল। সেখান থেকেই শুরু। এর পর অনলাইনে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন, কী ভাবে ব্যবসা বৃদ্ধি করা যায়। নাজ়িমের কথায়, ‘‘২০১৯ সালে সরকারের কাছে যাই, ২৫ বাক্স মৌমাছিতে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। ৭৫ কেজি মধু বার করেছিলাম। গ্রামে গ্রামে সেই মধু বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম।’’ নাজমি জানান, ২৫ বাক্স বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২০০ বাক্স। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম অধীনে ২০২০ সালে পাঁচ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। তার পর নিজের ওয়েবসাইটও চালু করেন। ক্রমে তাঁর মধু জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালে পাঁচ হাজার কেজি মধু বিক্রি করেছিলেন তিনি। নাজিম জানিয়েছেন, এখন তাঁর অধীনে ১০০ জন কাজ করেন।

Advertisement

নাজ়িম এও জানিয়েছেন, তাঁর অভিভাবকেরা চেয়েছিলেন তিনি চিকিৎসক হবেন। কিন্তু তিনি অন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তোমার পরিবার তোমার ক্ষমতা বুঝেছে। তুমি চিকিৎসকও হতে পারতে, কিন্তু সেই পথে যাওনি। আর তা না করে তুমি কাশ্মীরে মধুর বিপ্লব এনেছো। অনেক অনেক অভিনন্দন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নাজ়িমের এই কাজ অন্য কৃষকদেরও সাহায্য করছে। এর পরেই নাজ়িম প্রশাসন এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখন প্রচুর সরকারি প্রকল্প রয়েছে, যা থেকে সুবিধা পেতে পারেন তরুণেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement