সোমবার বাস্তারের কোয়ালিবেড়া থানা এলাকার কাঙ্কেরে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই হামলা চালায় মাওবাদীদের একটি দল। প্রতীকী ছবি।
উন্নয়ন থেকে বঞ্চনাও তাঁদের বিপ্লবের একটি বড় কারণ। অথচ ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীরা বাধা দিল সেই উন্নয়নের কাজেই। রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল বাস্তারে। সেই এলাকায় গিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ থামিয়ে সমস্ত যন্ত্রপাতি এবং গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিল মাওবাদীরা। ঘটনাচক্রে এই হামলার ঘটনার একদিন আগেই ছত্তীসগঢ় প্রশাসন মাওবাদী সংক্রান্ত নয়া নীতি নিয়েছে। তাতে মূলস্রোতে ফিরতে চাওয়া বা আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের কথাও জানিয়েছে ছত্তীসগড়ের মন্ত্রিসভা।
সোমবার বাস্তারের কোয়ালিবেড়া থানা এলাকার কাঙ্কেরে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই হামলা চালায় মাওবাদীদের একটি দল। ওই হামলায় দু’টি জেসিবি, দু’টি বুলডোজার এবং আটটি ট্রাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ঘটনাটি ঘটে রবি এবং সোমবারের মধ্যবর্তী রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সম্প্রতিই ছত্তীসগঢ় মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরাতে নতুন নীতি নিয়েছে। এই নীতিতে মাওবাদীদের হাতে নিহত বা জখম পুলিশকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকেদের সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা যেমন বলা হয়েছে। তেমনই আত্মসমর্পণ করতে চাওয়া মাওবাদীদের জন্যও একাধিক সুবিধার কথ বলা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করতে চাওয়া মাওবাদীদের হাতে হাতে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নামে আরও ১০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে রাখার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রিসভায়। তিন বছর যার সুদ পাবেন মাওবাদীরা। আর তিন বছরে আত্মসমর্পণ করা মাওবাদীদের আচার আচরণ সন্তোষজনক মনে হলে পুরো অর্থ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যে সমস্ত মাওবাদীদের মাথায় ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার রয়েছে, মূলত তাদের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। এই প্রথম মাওবাদীদের নিয়ে কোনও নীতি নির্ধারণ করল ছত্তীসগঢ়। চলতি বিধানসভা অধিবেশনে ওই নীতি সংক্রান্ত পেশ করার পর তা নিয়মে পরিণত হতে আরও দিন তিনেক লাগবে।