রেসকিউ সাবমেরিন বা উদ্দারকারী ডুবোজাহাজ কেনার প্রয়োজেন অনুভূত হয়েছিল ১৪ বছর আগে। ২০০২ সালে ভারতীয় নৌসেনা স্থির করেছিল, রেসকিউ সাবমেরিন কেনা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সিলমোহর দিল সেই সিদ্ধান্তে। ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে দুটি রেসকিউ সাবমেরিন কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংস্থা জেমস ফিশারের কাছ থেকে এই রেসকিউ সাবমেরিন দু’টি কেনা হচ্ছে। গভীর সমুদ্রে কোনও সাবমেরিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে বা আটকে পড়লে এই রেসকিউ সাবমেরিনকে উদ্ধারকাজে পাঠানো হয়। আক্রমণ চালানোর কাজে ব্যবহৃত বিশাল সাবমেরিনগুলির তুলনায় এই সব রেসকিউ সাবমেরিন আকারে অনেক চোট এবং হালকা। সমুদ্রের ৫০০ মিটার গভীরে ডুবেও কাজ চালাতে পারে এই সাবমেরিন। বিপুল জলের চাপ সহ্য করার ক্ষমতাও থাকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত সাবমেরিনের কাছে পৌঁছে। সেটির ইমার্জেন্সি হ্যাচের সঙ্গে জুড়ে যায় রেসকিউ সাবমেরিনগুলি। আটকে পড়া নাবিকদের উদ্ধার করার পর রেসকিউ সাবমেরিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত সাবমেরিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠে উঠে আসে।
যে সাবমেরিন কেনার সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চূড়ান্ত করেছে, সেগুলি এক সঙ্গে ২০ জনকে উদ্ধার করতে পারে। এই রেসকিউ সাবমেরিন হাতে এলে ভারতীয় নৌসেনার সক্ষমতা নিঃসন্দেহে অনেক বাড়বে। কিন্তু দু’টি রেসকিউ সাবমেরিন কেনার সিদ্ধান্ত নিতে ১৪ বছর সময় লেগে যাওয়ায়, ফের সামনে চলে এসেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দীর্ঘসূত্রিতার প্রশ্ন।