নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।—ফাইল চিত্র।
কথা মতোই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। কিন্তু হয়তো যা ভেবেছিলেন, তা হল না। চাপের মুখেও বরফ গলল না। উষ্মা প্রকাশ করে অমরেন্দ্র বলেন, ‘‘সব কিছুর মধ্যে শৃঙ্খলা থাকা উচিত।’’ সিধুর ইস্তফাপত্র তিনি যে এখনও পড়ে দেখেননি, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন অমরেন্দ্র।
ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে সিধুর মতবিরোধ চলছে বহু দিন ধরে। সিধু নগরোন্নয়ন দফতরে ভাল কাজ করেননি, এই অভিযোগে তাঁকে বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। লোকসভা ভোটে শহরাঞ্চলে কংগ্রেসের ভাল ফল না করার জন্যেও সিধুকে দায়ী করেছেন অমরেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিধু। নয়া দফতরের দায়িত্বও নেননি। রবিবার টুইটারে জানান, তিনি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে ইস্তফার চিঠি পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকেও ইস্তফাপত্র দেবেন। আজও একই ভাবে টুইটারে জানান, ক্যাপ্টেনের সরকারি বাসভবনে তাঁর পদত্যাগপত্র পৌঁছে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে দফতরের দায়িত্ব নেননি। গত কয়েক সপ্তাহ মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন না। সিধুর পদত্যাগের খবরও টুইটারে জানতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের ঝগড়া প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় কতটা অস্বস্তিতে অমরেন্দ্র? সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘অস্বস্তির নয়। তবে সব কিছুতে একটা শৃঙ্খলা থাকা উচিত। কে কোন কাজ ভাল করেন, সেটা বুঝেই দায়িত্ব দিয়েছি।’’ তবে ইস্তফা গ্রহণ করা হবে কি না তা নিয়ে বলেন, ‘‘সিধুর চিঠি পড়ি আগে, তার পরে মন্তব্য করব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উনি কাজ না করতে চাইলে আমি কী করব? যথাযথ ভাবে কাজ করতে হলে সরকারে অবশ্যই একটা শৃঙ্খলা থাকা উচিত।’’
প্রশ্ন তুলেছেন, জেনারেল কোনও কাজে বহাল করেছেন, কী করে এক জন যোদ্ধা সে কাজ করতে অস্বীকার করেন? অমরেন্দ্র বলেছেন, ‘‘আমার ওঁকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ওঁর যদি সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে ওঁকে জিজ্ঞাসা করুন। অনেক মন্ত্রীরই দায়িত্ব বদলানো হয়েছে। সিধুর উচিত ছিল, তাঁকে দেওয়া দফতরের দায়িত্ব নেওয়া।’’