Navjyot Singh Sidhu

৩৫ বছরের পুরনো মামলায় সাজার মেয়াদ শেষের আগেই জেলমুক্ত হচ্ছেন সিধু, জানালেন নিজেই

৩৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনায় পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সিধু। আদালত তাঁকে এক বছর কয়েদবাসের সাজার কথা শোনায়। ১৯ মে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার আগেই ছাড়া পাচ্ছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চন্ডীগড় শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৬:১০
Share:

শনিবার জেলমুক্ত হচ্ছেন সিধু, নিজেই জানালেন সে খবর। ফাইল চিত্র।

এক বছরের জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি পেতে চলেছেন ক্রিকেটার-রাজনীতিক নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। পঞ্জাবের এই রাজনীতিক নিজেই টুইট করে এই খবর জানিয়েছেন। তাঁর টুইটার হ্যান্ডল থেকে শুক্রবার দুপুরে একটি টুইটে লেখা হয়, “সবাইকে জানাতে চাই যে, নভজ্যোত সিংহ সিধু আগামিকাল পাতিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন।” পঞ্জাবের আপ সরকারের এক মন্ত্রী এই টুইটের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, শনিবার জেল থেকে মুক্তি পাবেন সিধু।

Advertisement

৩৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সিধু। আদালত তাঁকে টানা এক বছর কয়েদবাসের সাজার কথা শোনায়। চলতি বছরের ১৯ মে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলের ভিতর ভাল ব্যবহার করার জন্য আগেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সিধুকে।

Advertisement

যে ঘটনার জন্য সিধুকে প্রায় এক বছরের কারাবাস করতে হল, সেটি ঘটে ১৯৮৮ সালে। সিধু এবং তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিংহ সাঁধু রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে চলে যাওয়ায় মারুতিচালক এক বৃদ্ধ তাঁর প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ কথা কাটাকাটির সময় গুরনাম সিংহ নামের ওই বৃদ্ধকে সপাটে থাপ্পড় মারেন সিধু। মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ। ওই সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও নিম্ন আদালত প্রমাণের অভাবে সিধু এবং তাঁর সহযোগীকে বেকসুর খালাস করে দেয়। পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে অবশ্য সিধু দোষী সাব্যস্ত হন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিধু সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। নিহতের পরিবার রায় পুনর্মূল্যায়ন করার আর্জি জানান। এই মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার অভিযোগে সিধুকে এক বছরের সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।

সিধু অবশ্য বার বার দাবি করে এসেছেন, তাঁর জন্য কারও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতও তাদের পর্যবেক্ষণে জানায়, সিধুর মতো এক জন বক্সার, খেলোয়াড়ের চড়ে কারও মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সিধু এক সময় বিজেপি করলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও হন। মূলত তাঁর সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই কংগ্রেস ছাড়েন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। ২০২২ সালে হাত প্রতীক নিয়ে অমৃতসর (পূর্ব) বিধানসভা থেকে লড়ে হেরে যান সিধু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement