bad road condition

জুতো দিয়ে ঘষতেই উঠে গেল পিচ! চিৎকার করে বিধায়ক বললেন, ‘এটা রাস্তা? ঠিকাদার কোথায়?’

বিধায়ক বেদীরামের কথায়, “গাজিপুরে ঠিক মতো কাজ করেননি পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। কোনও কর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি। যে নিয়ম মেনে রাস্তা বানানো উচিত, তা করা হয়নি।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ১২:৩০
Share:

রাস্তার হাল দেখে মেজাজ হারালেন বিধায়ক। ছবি: সংগৃহীত।

অনেক দিন ধরেই তাঁর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে রাস্তাঘাট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ পাচ্ছিলেন। সেই অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে দেখতে বেরিয়েছিলেন বিধায়ক বেদীরাম। যে এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছিল, সেখানে রাস্তার হাল পরীক্ষা করতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি।

Advertisement

রাস্তার উপর এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জুতো দিয়ে ঘষা শুরু করতেই পিচের আস্তরণ উঠে আসে। রাস্তার এই হাল দেখে চিৎকার করে ওঠেন বিধায়ক। ধমকের সুরে তিনি বলেন, “এটা রাস্তা? এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলবে? কে বানিয়েছে এই রাস্তা? কোথায়, ঠিকাদার কোথায়? ডাকুন তাঁকে।”

বিধায়কের সামনে তখন কাঁচুমাচু মুখে হাজির ঠিকাদার। তাঁকে দেখেই আরও সুর চড়ান বিধায়ক। প্রশ্ন করেন, “কী ভাবে এই ধরনের রাস্তা বানালেন? মজা পেয়েছেন? এটা কী ধরনের কাজ, হ্যাঁ?” ঠিকাদারের সামনেই রাগের বশে রাস্তায় জুতো দিয়ে বেশ কয়েক বার আঘাত করেন, তাতে দেখা যায়, স্টোনচিপগুলি আলগা হয়ে উঠে যাচ্ছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর বিধানসভা এলাকার।

Advertisement

অভিযোগ পেয়ে রাস্তা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির বিধায়ক বেদীরাম। জাখানিয়ান এলাকার জঙ্গিপুর-বাহরিয়াবাদ-ইউসুফপুর রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে এই ঘটনার সাক্ষী হন তিনি। সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা কী ভাবে বানানো হয়েছে, তা দেখে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।

বেদীরামের কথায়, “গাজিপুরে ঠিক মতো কাজ করেননি পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। কোনও কর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি। যে নিয়ম মেনে রাস্তা বানানো উচিত, তা করা হয়নি। এমন ভাবে রাস্তা বানানো হয়েছে যে, এক বছর তো দূরের কথা, ৬ মাসও টিকবে না এই রাস্তা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement